ইসলামিক ডেস্ক: ইসলাম মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে এবং বিপদে সহমর্মিতা জানাতে শেখায়। আমাদের কোনো আত্মীয়স্বজন, পাড়া-পড়শি কিংবা বন্ধু মহলের কেউ অসুস্থ হয় তখন আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তাকে দেখতে যাওয়া, তার সেবা করা এবং সার্বিক খোঁজখবর নেয়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

ইসলামিক ডেস্ক: বর্তমান সময়টি এমনই কমবেশি সবাই আমার মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এটি যেন এখন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই মানসিক প্রশান্তি লাভে সালাতের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কোরআন হাদিসের আলোকে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বেশি বেশি হাদিস-কুরআন পড়তে হবে এবং আমাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

ইসলামিক ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ সা.-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।

ইসলামিক ডেস্ক: নামাজ হলো আল্লাহ তায়ালা ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের বিশেষ মাধ্যম। বান্দা নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সম্মান এবং তাঁর আনুগত্য পালনার্থে স্বীয় সম্মানিত অঙ্গগুলো আল্লাহ তায়ালার সামনে ঝুঁকায়। এর দ্বারা বান্দা মহামহীয়ান আল্লাহ তায়ালার সামনে নিজেকে তুচ্ছজ্ঞান করার পাশাপাশি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান প্রভুর দাসত্বের প্রকাশ ঘটে। রাসূল সা: বলেছেন, ‘ঈমান ও কুফরের ব্যবধান হলো সালাত (নামাজ) পরিত্যাগ করা’ (তিরমিজি-২৬১৯)।

ইসলামিক ডেস্ক: একজন ঈমানদার শুধু নামাজ-রোজায় তাঁর জীবনকে সীমাবদ্ধ রাখেন না। তাঁর আহার, নিদ্রা-জাগরণ সব কিছুই রাসূলুল্লাহ সা:-এর জীবনাদর্শ মোতাবেক পরিচালিত হতে হবে। প্রখ্যাত সুফিসাধক নিজামুদ্দীন আউলিয়া বলেন, ‘স্বল্প আহার, স্বল্প কথন, স্বল্প মেলামেশা, স্বল্প নিদ্রার মধ্যেই নিহিত আছে মানুষের পূর্ণতা।’ তবে খাবার হতে হবে সৎপথে অর্জিত ও পবিত্র। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের উপার্জিত পবিত্র বস্তু হতে আহার করো’ (সূরা আল-বাক্বারাহ, ২৬৭)।

ইসলামিক ডেস্ক: আদব অর্থ বিনয়, নম্রতা, ভদ্রতা, সভ্যতা, ইত্যাদি। মুসলিম জীবনে আদব-কায়দার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, নিশ্চয় উত্তম চরিত্র, ভালো ব্যবহার ও পরিমিত ব্যয় বা মধ্যপন্থা অবলম্বন করা নবুওয়তের পঁচিশ ভাগের একভাগ সমতুল্য। রাসূলুল্লাহ সা: আরো বলেন, বাবা তার সন্তানের জন্য যে সম্পদ রেখে যেতে পারে তা হচ্ছে সন্তানকে উত্তম আদব কায়দা ও নৈতিকতা, শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া (মুসলিম)।