মাহফুজুর রহমান: সাফা-মারওয়ার ইতিহাস ইতিমধ্যে বলেছি। সাফা পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে কাবা-মুখি হয়ে দোয়া করলে সে দোয়া কবুলের সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। আমরা সাফা পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে দোয়া-দরুদ পাঠ করে সায়ী শুরু করি। সাফা থেকে মারওয়া এক মারওয়া থেকে সাফা এক এভাবে আমরা মোট সাতবার সাফা-মারওয়া সায়ী শেষ করি। সবুজ বাতি দ্বারা চিহ্নিত স্থানগুলোতে একটু জোড়ে দৌড়ানোর আমলও করি। আলহামদুলিল্লাহ।

মাহফুজুর রহমান: জমজমের পানি পান করতে করতেই মনে পড়ে এর ইতিহাস। হযরত ইবরাহিম (আঃ)-এর ইতিহাসের সাথে জমজম কূপের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। হযরত ইবরাহিম (আঃ) যখন শিশু ইসমাঈল (আঃ)সহ বিবি হাজেরা (আঃ)কে মক্কায় নির্বাসনে পাঠান, তখন থেকেই জমজম কূপের আবির্ভাব হয়। হজরত ইবরাহিম (আঃ) যখন সিরিয়া থেকে মক্কায় পৌঁছেন তখন বিবি হাজেরা (আঃ) এবং দুধের শিশু হজরত ইসমাঈল (আঃ) কে মক্কার মরুভূমিতে রেখে সিরিয়া প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন এক মশক পানি এবং একটি থলের মধ্যে কিছু খেজুর তাদের কাছে রেখে গেলেন। হজরত হাজেরা (আঃ) কয়েকদিন পর্যন্ত সে পানি ও খেজুর খেলেন এবং নিজের কলিজার টুকরা হজরত ইসমাঈলকে দুধ পান করালেন।

মাহফুজুর রহমান: মিসফালাহ এর হিজরা রোডে আমাদের হোটেল। এখান থেকে কাবার দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। পায়ে হাঁটার ৮/১০ মিনিটের পথ। হোটেল থেকে নামতেই প্রথম চোখে পড়ল ক্লক টাওয়ার। যেটি ১২০ তলা বিশিষ্ট। অনেক দূর থেকেও স্পষ্টভাবে ক্লক টাওয়ারের ঘড়িতে সময় দেখা যাচ্ছে।

মাহফুজুর রহমান: আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মস্তক অবনত চিত্তে শুকরিয়া আদায় করছি, যে মহান আল্লাহ তার এই অধম বান্দাকে জীবনের একটি বড় স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার তাওফিক দিয়েছেন। আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করা এবং নবীর রওজা জিয়ারাহ করার স্বপ্ন লালন করেছি খুব অল্প বয়স থেকেই। কেন যেন স্বপ্ন দেখতাম কাবার গিলাফ ছুয়ে দেখার। হাজরে আসওয়াদ যেন আমায় ডাকতো চুম্বন করার জন্য। মা’কামে ইবরাহিমের দর্শন পাওয়ার আকুলতা সবসময় আমার হৃদয়ে বাসা বেঁধে ছিল।

ইসলামিক ডেস্ক: ইসলামের অনন্য ইবাদত পবিত্র হজ আসন্ন। পবিত্র হজ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে মানুষ সমবেত হতে শুরু করেছেন পূণ্যভূমি মক্কায়। আমাদের মধ্যে অনেকই আছেন যারা হজ করতে যান অথচ মানুষের অথবা পরিবারের ন্যায্য হিস্যা বা হক আদায় না করে হজে যান। প্রকৃতপক্ষে হজে যাওয়ার আগেই মানুষের যাবতীয় পাওনা ও হক পরিশোধ করে যাওয়া। এটা কোনো ইবাদতেও মাফ হয় না এমনকি আল্লাহতায়ালাও মাফ করেন না, যতক্ষণ না ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা পাওনাদার তা ক্ষমা করেন।

ইসলামিক ডেস্ক: ইসলাম ফরজ বিধানগুলো পালনে যেভাবে তাগিদ দিয়েছে, তেমনি আচার-আচরণে বা ব্যবহারের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। উত্তম চরিত্র ও ভালো ব্যবহার নিয়ে দিকনির্দেশনা রয়েছে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে। জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আহার-পানীয় গ্রহণে, অন্যের সাথে কুশলবিনিময়ে, সালাম আদান-প্রদানে, অনুমতি গ্রহণে, ওঠাবসা, কথা বলা, আনন্দ ও শোক প্রকাশ প্রভৃতি ক্ষেত্রে মু’মিনের আচরণ কিরূপ হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে।