এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) এর উদ্যোগে খুলনা নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে আজ বুধবার সাসটেইনেবল এ্যাকোয়াকালচার ইন ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম (সায়মি) প্রকল্পের দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বেডস এর প্রধান নির্বাহী মো: মাকছুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিরন্তর সহযোগিতা থাকবে। তিনি বলেন, উত্তম এ্যাকোয়াকালচার অনুশীলন করে মৎস্য চাষ করলে প্রতি হেক্টরে ফলন অনেক বেশি পাওয়া যাবে এবং মাছ রোগমুক্ত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
বিগত কর্মশালার পর্যালোচনা ও আয়োজিত কর্মশালার উদ্দেশ্য ও সায়মি প্রকল্পের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার উপায়সমূহ সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ এস এম মাহফুজুর রহমান লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীদের নিয়ে পরিচালিত কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। তিনি মোংলা ও রামপালের ৩৭ জন মৎস্য চাষীর অংশগ্রহণে ৩৩.২৩ হেক্টর জমির ঘেরে ম্যনগ্রোভভিত্তিক মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ, ২ টি জনগোষ্ঠিভিত্তিক ম্যানগ্রোভ নার্সারী স্থাপন ও পরিচালনা, ২৫ গ্রামীণ নারীদের ম্যানগ্রোভভিত্তিক পণ্য প্রক্রিয়াজাত, মোড়কজাত ও বাজারজাতকরণের উপর দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে বেডস্ এর সম্পাদিত কার্য়ত্রম বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ এস এম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন যথাক্রমে মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপুল কুমার বসাক, খুলনা ও বাগেরহাটের জেলা মৎস্য অফিসার কৃষিবিদ মো: বদরুজ্জামান ও কৃসিবিদ ড. মো: আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ মনিরুল মামুন ও ফারহানা তাসলিমা, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রনের পরিদর্শক মো: মিজানুর রহমান, ম্যানগ্রোভ সিলভিকালচার ডিভিশনের ড. মমিনুল ইসলাম নাহিদ, সোস্যাল ফরেষ্ট্রি বিভাগের কর্মকর্তা সুপ্রিয়া হুই, গ্রুপভিত্তিক মৎস্য চাষী প্রতিনিধি, পোনা ব্যবসায়ী, আড়তদার ও বনজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি কমলা গাইন প্রমুখ।
প্রকল্পের আওতায় কেওড়া ফলের মুখরোচক আচার, গোলপাতা গাছের রস হতে তৈরি গুড় ও অন্যান্য আয়বর্ধনমুলক কাজ করছেন বলে কমলা গাইন অভিমত ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সরকারী ও বেসরকারী প্রতিনিধিগন উপ-দলে বিভক্ত হয়ে জীবিকায়ন (গুড এ্যাকোয়কালচার), ভ্যালু চেইন ও ম্যানগ্রোভ সম্পর্কিত কারিগরি পরামর্শ ও সহযোগিতা কৃষক পর্যায়ে কিভাবে নিশ্চিত করতে পারবেন তা আলোচনার মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। উল্লেখ্য, প্রকল্পটির কার্যক্রম ২০২৪ সালের মে মাসে শুরু হয়েছে এবং অক্টোবর ২০২৭ সালে শেষ হবে।