মো রিয়াজ হোসাইন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে হাঁসফাঁস জনজীবন। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তবে আমিষের অন্যতম উৎস ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হোটেলগুলোতে ডিমের দাম আগের মতোই রয়েছে। এছাড়াও হোটেলগুলোতে রুটি, মাছ এবং মাংসের আকারও ছোট হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি হোটেলে রান্না করা ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায় এবং ডিম ভাজি ২০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ টাকা হলেও হোটেলগুলোতে মাত্র ৫০ গ্রাম ওজনের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, আর একই ওজনের মুরগির কালো ভুনা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। বাজারে পাঙ্গাস মাছ কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও হোটেলগুলোতে প্রতি কেজিতে ৭-৮ পিস করে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। পাশাপাশি ১০ টাকার রুটির আকারও আগের তুলনায় ছোট হয়ে গেছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা জানান, এখন হোটেলে ভালো কিছু খাওয়ার আগে বারবার ভাবতে হয়। সবকিছুর দাম যেমন চড়া, পাশাপাশি রান্নার প্রক্রিয়াও অস্বাস্থ্যকর। প্রশাসনের নীরবতায় আমরা অনেকটা জিম্মি। বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ দিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এই অরাজকতা বন্ধ করতে হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং বোর্ড গঠন করতে হবে, যাতে তদারকি বাড়ে। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংস্থাকেও আরও সক্রিয় থাকতে হবে। বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হোটেলগুলোতে খাদ্যের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে বাধ্য করতে হবে।
দোকান মালিকরা জানান, ডিমের দাম কিছুটা কমলেও রান্নার সব উপকরণের দাম অনেক বেড়েছে। শ্রমিক ও জ্বালানির খরচও আগের চেয়ে বেশি। যখন ডিমের দাম বেশি ছিল, তখনও একই মূল্যে বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। সারা বছরের মূলধন ধরে রাখার জন্যই এখন দাম কমানো হয়নি। মাছ-মাংস রান্নার উপকরণের দামও অনেক বেশি বলে জানান তারা।
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড মো আব্দুল আলীম জানান, আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজার কমিটির সাথে আলোচনা করে খুব শিগগির হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে যাব।