জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি: মৎস্য খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রভাব

অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন
ভূমিকা:
বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে একটি গৌরবজনক অবস্থান অর্জন করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট মাছ উৎপাদন ছিল ৪৯.১৫ লাখ মেট্রিক টন, যা বিশ্বে ৫ম বৃহত্তম মাছ চাষ, ৪র্থ বৃহত্তম তেলাপিয়া উৎপাদনকারী এবং ১ম ইলিশ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতির যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে এই সফলতার পেছনে রয়েছে একটি অদৃশ্য পরিবেশগত খরচ - গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমন।

মাছ চাষ এবং মৎস্য আহরণ খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন তিনটি ধাপে হয়ে থাকে:
- মাছ চাষ খাতে: পুকুর ব্যবস্থাপনা, খামারের জন্য খাদ্য উৎপাদন, বায়ুচালিত যন্ত্র এবং পানির পাম্প ব্যবহারে।
- মৎস্য আহরণ খাতে: মাছ ধরার নৌকায় ডিজেল বা পেট্রোল ব্যবহারে।
- মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণে: মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ঠান্ডা সংরক্ষণ এবং দূরবর্তী পরিবহনে।

মাছ চাষের ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন
মাছ চাষে ব্যবহৃত প্রস্তুত খাদ্য (ফিড) গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের একটি প্রধান উৎস। এই খাদ্য প্রস্তুত করতে মাছের গুঁড়ো (fishmeal), সয়াবিন, ভুট্টা ইত্যাদির ব্যবহার হয়ে থাকে, যার উৎপাদন ও পরিবহনে প্রচুর পরিমাণে CO₂ নির্গত হয়। তদুপরি, উচ্চ ফিড কনভার্শন রেশিও (FCR) বিশিষ্ট মাছ যেমন তেলাপিয়া বা পাঙ্গাশের জন্য বেশি পরিমাণ খাদ্য প্রয়োজন হয়, যা মৎস্য খাতে সামগ্রিক GHG নির্গমন আরও বাড়িয়ে তোলে। মাছের খামারে অতিরিক্ত ফিড প্রয়োগের ফলে পুকুরে অজৈব পদার্থ জমে মিথেন (CH₄) গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা আরও বেশি জলবায়ু ঝুঁকি তৈরি করে।

এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বিকল্প ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার। উদাহরণস্বরূপ, উন্নত ফিড ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক সময়ে পরিমিত ফিড প্রয়োগ করে উচ্চ ফিড কনভার্শন রেশিও কমানো সম্ভব। ইনসেক্ট-ভিত্তিক প্রোটিন বা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য ব্যবহার করলে আমদানি নির্ভরতা ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নির্গমন দুটোই কমবে। পাশাপাশি বায়োফ্লক প্রযুক্তি (বিএঅটি) ব্যবহার করলে খাদ্যের অপচয় রোধ হয়ে যায় এবং পানিতে থাকা বর্জ্য পদার্থ রূপান্তরিত হয়ে যায় পুষ্টিকর মাইক্রোবিয়াল খাদ্যে, যা মাছের বাড়ন্ত বজায় রেখে পরিবেশে চাপ কমায়। এসব কৌশলের সম্মিলিত প্রয়োগে বাংলাদেশে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মাছ উৎপাদন বজায় রেখে পরিবেশগত প্রভাবও হ্রাস করা সম্ভব।

নাইল তেলাপিয়া চাষে বায়োফ্লক প্রযুক্তির ব্যবহার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে একটি কার্যকর উদ্ভাবন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেখানে সাধারণত ফিড কনভার্শন রেশিও (Feed Conversion Ratio) ছিল ১.২–১.৩, সেখানে বায়োফ্লক ব্যবহারে তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.৭–০.৮ এ। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলাপিয়া উৎপাদক দেশ, যেখানে বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৪.৮ লক্ষ মেট্রিক টনের কাছাকাছি (২০২২-২৩)। এই উৎপাদন বজায় রাখতে প্রচলিত ফিড কনভার্শন রেশিও (১.২) অনুযায়ী প্রতি কেজি মাছ উৎপাদনে প্রয়োজন হয় ১.২ কেজি খাদ্য, ফলে বছরে প্রায় ৫.৭৬ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ব্যবহৃত হয়। যদি প্রতি কেজি ফিড উৎপাদনে ১.৮ কেজি CO₂e নির্গমন হয়, তবে বছরে ফিড থেকে নির্গমন হয় আনুমানিক ১০.৩৬ লক্ষ টন CO₂e।

তবে, বায়োফ্লক প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি ফিড কনভার্শন রেশিও (FCR) কমিয়ে ০.৮-এ আনা যায়, তবে একই উৎপাদনের জন্য ফিডের প্রয়োজন হবে প্রায় ৩.৮৪ লক্ষ টন, ফলে নির্গমন হবে প্রায় ৬.৯১ লক্ষ টন CO₂e। অর্থাৎ, শুধুমাত্র FCR হ্রাসের মাধ্যমে বার্ষিক প্রায় ৩.৪৫ লক্ষ টন CO₂e নির্গমন কমানো সম্ভব। এটি দেশের জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টায় একটি বড় ইতিবাচক অবদান রাখবে। তবে এই প্রযুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত জনবল, পানির মান বজায় রাখা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগ সহায়তা। সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে বায়োফ্লক সম্প্রসারণ করা গেলে বাংলাদেশে তেলাপিয়া উৎপাদনের পরিবেশগত প্রভাব বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

মৎস্য আহরণের ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন
বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম উন্মুক্ত জলাশয়ে (open water) মৎস্য আহরণকারী দেশ, যার মধ্যে নদী, হাওর, বিল, ও বন্যা প্রবণ এলাকা থেকে মাছ সংগ্রহ হয়। যদিও উন্মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ আহরণ অপেক্ষাকৃত কম কার্বন নির্গত করে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে নৌযান ও ট্রলারে ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই খাত থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG), বিশেষ করে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) নির্গত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, নদীতে চলাচলকারী একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার প্রতিদিন গড়ে ২০–৩০ লিটার ডিজেল পোড়ায়, যা বার্ষিকভাবে কয়েক হাজার টন CO₂ নির্গমন ঘটায়। বিশেষ করে ইলিশ আহরণ মৌসুমে জ্বালানির ব্যবহার ও পরিবহন বাড়ে, যা GHG নির্গমনকে আরও ত্বরান্বিত করে।

এই নির্গমন হ্রাসে সমাধান হতে পারে জ্বালানি দক্ষ প্রযুক্তির নৌযান ব্যবহার, সোলার বা হাইব্রিড ইঞ্জিন চালু করা, এবং ক্ষুদ্র জেলেদের জন্য জ্বালানি সহায়তার পরিবর্তে কম নির্গমন প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া। পাশাপাশি, মাছ আহরণ ও সংরক্ষণে ঠান্ডা চেইনের দক্ষতা বাড়ানো এবং স্থানভিত্তিক বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন GHG নির্গমন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের মতো উচ্চ জলজ সম্পদসম্পন্ন দেশের জন্য এই খাতে নির্গমন কমিয়ে পরিবেশবান্ধব মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করা টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন
মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতও বাংলাদেশের মৎস্য শিল্পে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমনের একটি উৎস। মাছ পরিষ্কার, কাটা, প্যাকেটজাত, হিমায়ন ও পরিবহনের প্রতিটি ধাপে বিদ্যুৎ বা জ্বালানির ব্যবহার হয়, যা থেকে প্রধানত CO₂ নির্গত হয়। একটি মাঝারি আকারের মৎস্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা যেখানে বছরে প্রায় ৫,০০০ টন মাছ প্রক্রিয়াজাত করে, তা থেকে বছরে গড়ে ১০৫ টন CO₂ নির্গমন হয়। আবার, ফ্রিজিং ট্রাক যদি মাছ ৫০০ কিমি দূরে নিয়ে যায়, তাহলে একবার পরিবহনে প্রায় ৩.৩৫ টন CO₂ নির্গমন হয়। সমুদ্র মৎস্য আহরণে পাওয়ার ট্রলার ব্যবহার প্রতি কেজি মাছের জন্য প্রায় ২ লিটার ডিজেল পোড়ায়, যা প্রচুর পরিমাণ CO₂ নির্গমন করে। অপরদিকে, গিলনেট, হ্যান্ডলাইন ব্যবহারে মাত্র ০.২–০.৫ লিটার ডিজেল লাগে।

সমুদ্র-মৎস্য (Marine Harvest), বিশেষ করে চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ সংগ্রহের পরে দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করতে হয়, যাতে পণ্য রপ্তানি উপযোগী থাকে। এ কাজে প্রচুর বিদ্যুৎনির্ভর বরফ উৎপাদন, কোল্ড স্টোরেজ এবং ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবহৃত হয়—যা নির্গমন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
এই নির্গমন কমাতে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ হতে পারে সৌরশক্তিনির্ভর বরফকল, হিমাগার ও হিমায়িত পরিবহন ব্যবস্থার ব্যবহার। সৌর শক্তি ব্যবহারে নির্গমনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে এবং একই সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ও কমবে। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বরফ তৈরি করে স্থানীয় মাছ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রগুলোতে সংযুক্ত করলে জ্বালানি-নির্ভরতা কমানো সম্ভব। রপ্তানিমুখী বাজারের জন্য ‘লো-কার্বন’ বা ‘গ্রিন ফিশ’ হিসেবে লেবেলিং ব্যবস্থা চালু করা হলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়বে। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, জ্বালানি দক্ষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার এবং কোল্ড চেইনের দক্ষতা বাড়িয়ে মৎস্য রপ্তানি উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব হবে।

ম্যানগ্রোভ বন উজাড় করে চিংড়ি চাষের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি
সমন্বিত ম্যানগ্রোভ-চিংড়ি চাষ (Integrated Mangrove-Shrimp Farming, আইএমএস পদ্ধতি) বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই জলচাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন। এই পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের সঙ্গে সঙ্গে ম্যানগ্রোভ গাছ যেমন কেওড়া গাছ (Mangrove Apple plant বা Sonneratia caseolaris) রোপণ করা হয়, যা একদিকে চিংড়ি চাষে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখে, অন্যদিকে মাটিতে ও গাছে বিপুল পরিমাণে কার্বন ধারণ করে GHG নির্গমন হ্রাসে সরাসরি ভূমিকা রাখে। বর্তমানে চিংড়ি পণ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও ম্যানগ্রোভ বন উজাড় করে খামার তৈরির ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বেড়েছে।
আইএমএস পদ্ধতি কার্বন ধরা (carbon sequestration) ও নি:সরণের মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করে। এতে করে সূনীল অর্থনীতির (Blue Economy) একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়, যেখানে খাদ্য উৎপাদন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকায়ন একসাথে এগিয়ে চলে। ম্যানগ্রোভ গাছ প্রতিবছর হেক্টরপ্রতি কয়েক মেট্রিক টন কার্বন ধরে রাখতে সক্ষম, যা দেশের NDC (Nationally Determined Contributions) লক্ষ্য পূরণেও সহায়ক। আইএমএস পদ্ধতি বাস্তবায়নে সরকারি নীতিসহায়তা, গবেষণা এবং চাষিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল চিংড়ি উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব, যা টেকসই উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডমূল্য বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশে চাষকৃত বিভিন্ন মাছ প্রজাতির নির্গমন বৈচিত্র্য রয়েছে:

  • লাইফ সাইকেল বিশ্লেষণ অনুযায়ী:
    পাঙ্গাশ – ৩.৮১ কেজি CO₂e/কেজি
    তেলাপিয়া – ৩.৬০ কেজি CO₂e/কেজি
    কার্প – ১.৯১ কেজি CO₂e/কেজি
    বাংলাদেশে এক বছরে মাছ চাষ থেকে মোট নির্গমন প্রায় ৫.৪৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন CO₂e।

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের (GHG) নির্গমন হ্রাসে সম্ভাব্য সমাধানগুলো হলো:
- উন্নত ফিড কনভার্শন রেশিও (FCR) সম্পন্ন খাদ্য ব্যবহার করা
- প্ল্যান্ট বা ইনসেক্ট বেইজড বিকল্প প্রোটিন ব্যবহার করা
- সৌর শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা
- বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহারে ফিড কনভার্শন রেশিও কমানো
- সৌর শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো রিসারকুলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেমে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যবহার
- সমন্বিত ম্যানগ্রোভ-চিংড়ি সমন্বিত চাষ পদ্ধতি

নীতিমালা সুপারিশ:
- ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ ও ব্লু-কার্বন প্রকল্প
- ‘গ্রিন মাছ চাষ চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ চালু
- কার্বন লেবেলিং ও সার্টিফিকেশন
- নারী উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ
- দূর্গম অঞ্চলে সোলার ট্যাংক ও হোম গার্ডেন সম্প্রসারণ

পরিশেষে বলা যায় বাংলাদেশের মাছ চাষ ও মৎস্য আহরণ খাত খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায়ও দায়িত্ববান ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন ‘কার্বন-স্মার্ট’ চিন্তা, পরিকল্পনা ও উদ্ভাবন। “জলবায়ু-সহনশীল মাছ চাষ: পুষ্টি নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষা - একসাথে এগিয়ে যাওয়া।”

লেখক: অ্যাকোয়াকালচার বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ১২০৭।