দেলোয়ার জাহিদ:গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে  সুপারিশ করা হয় যে, শিশু শ্রেণিসহ প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার। ...বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, একনেক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিপিএম পদ্ধতিতে দুটি স্পিডবোট এবং ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গবেষণা জাহাজ নির্মাণের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। স্পিডবোট ও গবেষণা জাহাজের বিস্তারিত স্পেসিফেকশনসহ প্রস্তাব পাওয়ার পর অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস ও অন্যান্য খনিজসম্পদ আহরণ ও প্রয়োজনীয় গবেষণা জাহাজ ক্রয়ের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে ফ্রেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এফডিএ) এবং বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে ইকবালুর রহিম, শফিকুল আজম খাঁন, মোজাফফর হোসেন, শিরীন আহমেদ ও সেলিমা আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।(সূত্র: যুগান্তর)

ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক রিপন:বাংলাদেশের মৎস্য খাতের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত মিডিয়াতে প্রকাশিত হওয়ার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। কিন্তু প্রায়শই দেখা যায় প্রকৃত পরিসংখ্যান সঠিকভাবে উপস্থাপনের অভাবে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। গত সপ্তাহে মাৎস্যবিজ্ঞানের স্নাতক পর্যায়ে সূচনা ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরের অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক অবস্থা তুলে ধরার জন্য কিছু প্রশ্ন করলাম। উত্তরে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের কিছু পত্রিকার রেফারেন্স দিয়ে বললো যে, বাংলাদেশ এবছর চাষের মাধ্যমে মাছ উৎপাদনে বা মৎস্যচাষে পঞ্চম অবস্থান থেকে দুই ধাপ এগিয়ে বিশ্বে চাষের মাছে বাংলাদেশ এখন তৃতীয়- যা একটি মারাত্মক ভুল।

দেলোয়ার জাহিদ:বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশের বর্তমান সঙ্কটাপন্ন অর্থনীতিতে দেশের সমুদ্রসম্পদকে ব্যবহারের আশু পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও সুদূরপ্রসারী একটি কৌশল গ্রহণ অবিশম্ভাবী হয়ে উঠেছে। সমুদ্র অর্থনীতিতে যে বিশাল সুযোগ রয়েছে, যে সুযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তারে। রয়েছে ৫ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থানের, তাকে নিয়ে এগিয়ে চলায় এ ধীরগতি দেশকে অনেক পিছিয়ে দিবে।

দেলোয়ার জাহিদ:বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে তীরে অবস্থিত ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক এলাকা নিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশে অপরাপর বা সমপর্যায়ের দেশগুলোর  অভিজ্ঞতা নিয়ে সমুদ্রভিত্তিক একটি অর্থনীতি গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।  অর্থনীতিতে  বিপ্লবিক পরিবর্তন আনার ও টেকসই উন্নয়নে সমুদ্রসম্পদকে ব্যবহারের পরিকল্পনা ও সুদূরপ্রসারী কৌশল গ্রহণ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এ দেশের জন্য অনেকটা অবিশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যেমন-উপকূলীয় সুরক্ষা ও নজরদারির কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ , মৎস্য চাষ, মৎস্য আহরণ, জাহাজ চলাচল, জ্বালানি, পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে।

প্রবাসী গবেষণা ডেস্ক সেন্ট্রাল আলবার্টা, কানাডা: বাংলাদেশে সামুদ্রিক খাদ্য সন্ধান, মৎস্য আহরণ, উন্নয়ণ এবং অর্থনীতিতে এর অবদান শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা ২০ নভেম্বর (রোববার) সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ) অনুষ্ঠিত হয়।

Dr. Jagot Chand Malaker:Farmers of Bangladesh generally practice subsistence farming (now a day’s transforming commercial farming and mechanization) where they need to produce a continuous, reliable and balanced supply of nutritious foods, as well as cash for basic needs and recurrent farm expenditure. Therefore, there is a need to develop suitable integrated farm management systems for such farmers since single crop production enterprises are subject to a high degree of risk and uncertainty because of seasonal, irregular and uncertain income and employment to the farmers.