শিক্ষক মাত্রই বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী

ইসলামিক ডেস্ক:শিক্ষক মাত্রই বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী। মহান আল্লাহ তায়ালাও শিক্ষকদের আলাদা মর্যাদা ও সম্মান দান করেছেন। শিক্ষকরা হলেন জাতির বতিঘর। যাদের দেয়া শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একজন শিক্ষার্থী তার ব্যক্তিগত ও কর্মময় জীবনকে আলোকিত করে। পাশাপাশি পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র তার দ্বারা উপকৃত হয়। শিক্ষকদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখার ঐতিহ্য ও রীতি আমাদের সমাজে বেশ প্রাচীন।

প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা: ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জ্ঞানার্জন করো এবং জ্ঞানার্জনের জন্য আদব-শিষ্টাচার শেখো এবং যার কাছ থেকে তোমরা জ্ঞানার্জন করো, তাকে সম্মান করো’ (আল-মুজামুল আওসাত, হাদিস নং-৬১৮৪)। আল কুরআনের শিক্ষার আলোকে জ্ঞানার্জনের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা: বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর বিদ্যার্জন করা ফরজ’ (ইবনে মাজাহ-২২০)।

পবিত্র কুরআনে নাজিলকৃত প্রথম আয়াতে জ্ঞানার্জন ও শিক্ষা-সংক্রান্ত কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘পড়ো, তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একবিন্দু জমাট রক্ত থেকে। পড়ো, আর তোমার প্রতিপালক পরম সম্মানিত। যিনি কলমের দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না’ (সূরা আলাক : ১-৫)।

শিক্ষা অনুযায়ী মানবচরিত্র ও কর্মের সমন্বয় সাধনই হচ্ছে রাসূল সা:-এর তাগিদ। নিজে শিক্ষা অর্জন করার পরক্ষণেই অপরকে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত ও চরিত্র গঠন করার দায়িত্বও শিক্ষকের। রাসূল সা: বলেন, ‘আল্লাহর পরে, রাসূলের পরে ওই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা মহানুভব, যে বিদ্যার্জন করে ও পরে তা প্রচার করে’ (বুখারি-৪৬৩৯)।

তাই ইসলামের আলোকে শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকদের আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষাদানে তৈরি করে তুলতে হবে। রাসূল সা: বলেছেন, ‘তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা অর্জন করো।’ উমর রা: ও উসমান রা: তাদের শাসনামলে শিক্ষাব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তারা শিক্ষক ও ধর্মপ্রচারকদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন।

আসুন আমরা আদর্শ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করি এবং শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।-মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের তাওফিক দিন-আমিন