আত্মসমালোচনা একজন মুমিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ

ইসলামিক ডেস্ক:আত্মসমালোচনা একজন মুমিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের দুই চোখ দিয়ে অন্যের দোষ-ত্রুটি দেখতে পাই। মনের চোখে নিজের আয়নায় নিজেকে দেখতে পাই। পরকালীন জবাবদিহিতার প্রতি লক্ষ্য রেখে নিজের ভালো-মন্দ নিয়ে নিজের সঙ্গে প্রতিনিয়ত বোঝাপড়া করার নামই হচ্ছে আত্মসমালোচনা। আত্মসমালোচনার এই চর্চা পাপে নিমজ্জিত হওয়া থেকে বিরত রাখে।

আত্মসমালোচনাকে প্রত্যেক মুমিনের জন্য অপরিহার্য ঘোষণা করে আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচিত আগামীকালের জন্য (অর্থাৎ আখিরাতের জন্য) সে কী প্রেরণ করেছে, তা চিন্তা করা। আর তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা আল্লাহকে ভুলে গেছে, ফলে আল্লাহ তাদের আত্মভোলা করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই তারা ফাসিক।’ (সুরা হাশর, আয়াত : ১৮)

এই আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ প্রত্যেক মুমিনের জন্য আত্মসমালোচনা ওয়াজিব করে দিয়েছেন।

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আত্মসমালোচনাকারীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘যাদের মনে আল্লাহর ভয় আছে, তাদের ওপর শয়তানের আগমন ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তারা সতর্ক হয়ে যায় এবং তখন তাদের বিবেচনাশক্তি জাগ্রত হয়ে ওঠে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২০১)

আত্মসমালোচনার গুরুত্ব সম্পর্কে ওমর (রা.)-বলেন, ‘তোমরা নিজেদের আমলনামার হিসাব নিজেরাই গ্রহণ করো, চূড়ান্ত হিসাব দিবসে তোমাদের কাছ থেকে হিসাব গৃহীত হওয়ার আগেই। আর তোমরা তোমাদের আমলনামা মেপে নাও চূড়ান্ত দিনে মাপ করার আগেই। কেননা, আজকের দিনে নিজের হিসাব নিজেই গ্রহণ করতে পারলে আগামী দিনের চূড়ান্ত মুহূর্তে, তা তোমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। তাই সেই মহাপ্রদর্শনীর দিনের জন্য তোমরা নিজেদের সুসজ্জিত করে নাও, যেদিন তোমরা (তোমাদের আমলসহ) উপস্থিত হবে এবং তোমাদের কিছুই সেদিন গোপন থাকবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৯)

আসুন আমরা নিজের দোষ-ত্রুটি নিজের সামনে প্রকাশ করে শুথরে নেই। আত্মসমালোচনার মাধ্যমে  মহান আল্লাহর দরবারে খাঁটি বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাই। নিশ্চয়ই সর্বশক্তিমান রব আমাদের পূর্বের সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে আমাদের খাঁটি মুমসন মুসলমান হিসেবে কবুল করবেন।-আমিন