ইসলামের প্রচার-প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ইসলামিক ডেস্ক:যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশে ইসলামের প্রকৃত পরিচর্যাকারী। ইসলামের প্রসারের লক্ষ্যে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সর্বপ্রথম বেতার ও টেলিভিশনে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পবিত্র কোরআন ও তার তাফসির এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচারের সুব্যবস্থা করা হয়।  

তাবলিগ জামাত বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রচারের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ-বিদেশ থেকে আগত মেহমানদের ইসলাম প্রচারের সুবিধার্থে তিনি কাকরাইল মসজিদ সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করে দেন। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধা করার জন্য বঙ্গবন্ধু 'স্থায়ী বন্দোবস্ত' হিসেবে তুরাগ নদের তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই আমরা ওআইসি এর সদস্যপদ লাভ করি।  

তিনি আজ সকালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য দুইদিন ব্যাপী ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়্যুথ ফোরাম-এর ৪র্থ সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। জাতীয় পর্যায়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) পালন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠনসহ বঙ্গবন্ধু হজ পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করেন এবং হজ ভ্রমণে কর রহিত করেন। বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম  আইন করে মদ, জুয়া, জুয়াসহ  ইসলামবিরোধী সকল কার্যকলাপ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

প্রতিমন্ত্রীর আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা তার পিতার পথ ধরে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একযোগে দেশব্যাপি ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ প্রকল্প দ্বিতীয় বৃহৎ।

অনুষ্ঠানে আইসিওয়াইএফ-এর সভাপতি তাহা আয়হানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে ইসলামি সহযোগী সংস্থা (ওআইসি)-এর মহাসচিব ড. ইউসেফ আল-ওথাইমিনসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখেন।