পোল্ট্রি গবেষণায় আরো জোর দিতে হবে

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: পোল্ট্রি শিল্প বাংলাদেশের একটি বৃহৎ একটি শিল্প। এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১ কোটির অধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ভেটেরিনারিয়ান, পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ, নিউট্রিশনিস্ট সরাসরি নিয়োজিত রয়েছেন এ শিল্পের সাথে। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৮০ হাজারের অধিক ছোট বড় খামার রয়েছে। এছাড়াও আছে ব্রিডার ফার্ম, হ্যাচারি, মুরগির খাবার তৈরির কারখানা। পোল্ট্রি শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে লিংকেজ শিল্প, কাঁচামাল ও ওষুধ প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান। পোল্ট্রি খামার আমাদের ডিম ও মাংসের যোগান দিয়ে থাকে। আসন্ন ১২ তম আন্তজার্তিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনার পক্ষে এগ্রিলাইফের সাথে আলাপ চারিতায় এসব কথা বলেন, প্লানেট এগ্রোর পরিচালক জনাব শাহ ফাহাদ হাবিব।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে তার প্রতিষ্ঠান প্লানেট গ্রুপ ২০১০ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তার প্রতিষ্ঠান ফিড মিল অপারেশন, বিশ্বের সেরা নেরা কোম্পানীর ফিড অ্যাডেটিভিভস্ আমদানী, ব্রিডার ফার্ম, হ্যাচারী অপারেশন সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে নিবেদিত রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে হাজারো মানুষের। এ শিল্পের সাথে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ধরনের অবদানে দেশের পোল্ট্রি শিল্প আজ আন্তর্জাতিক মানের।

আসন্ন পোল্ট্রি শো ও সেমিনার উপলক্ষে পরামর্শের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে। WPSA বাংলাদেশ শাখা বর্তমানে সে কাজটিআরা ব্যাপকভাবে করছে, গবেষণায় সহযোগিতা ও প্রণোদনা দিচ্ছে। গবেষণার মাধ্যমে এ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ১২তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো'র আয়োজকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি পোল্ট্রি খামারীসহ এ সেক্টরের সকল সুধীজনদের এ মেলা পরিদর্শনের জন্য বিনীত আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।