পামওয়েল আমদানি বেশি অথচ বাজারে বেশিরভাগ তেলই সয়াবিন তেল

তেল ফসলের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের গুরুত্ব
ড. জগৎ চাঁদ মালাকার:বাংলাদেশে একটি জনবহুল দেশ। এদেশে তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের তুলনায় কম। তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ভোজ্য তেল আমদানি বাবদ প্রায় ২৪-২৭ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব।  আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদার ৫৩% আমরা পাই দানাদার খাদ্যশস্য থেকে যা দৈনিক ২১২২ কিলো-ক্যালোরীর ৭৫% ভাগ। বাকি ২৫ ভাগ কিলো-ক্যালোরী আসে ফলমূল, শাকসবজি, ডাল ও তেল থেকে। মাথাপিছু তেল গ্রহনের চাহিদা ৩০ গ্রাম । আমরা গ্রহনকরি ২০-২২ গ্রাম। আমদানীকৃত ভোজ্য তেলের শতকরা হার (বিবিএস ২০১৯) পামওয়েল ৫৮%, সয়াবিন ৩৭%, (র‌্যাপসিড+ক্যানোলা) ৫%। আমদানি বেশি পামওয়েল অথচ বাজারে বেশিরভাগ তেলই সয়াবিন তেল।

আমাদের দেশের জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা আমাদের এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। বর্তমান উৎপাদন পরিস্থিতিতে ধান বাদে অন্যান্য ফসল গম, তেলবীজ, ডাল ও শাকসবজি উৎপাদন আমাদের চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। সামগ্রিকভাবে একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে সে দেশের মোট খাদ্যের প্রাপ্যতা, জনগণের খাদ্য ক্রয়-ক্ষমতা এবং খাবার গ্রহণের উপর (সুষম বন্টন)। তা ছাড়া প্রাপ্যতা থাকলেও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না থাকলে জনগণ কিনতে পারবে না। মানুষের সামাজিক মর্যাদা নিয়ে সুষ্ঠু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা এই পাঁচটি উপাদান একান্তই দরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ধান ও শাকসবজির উৎপাদনে তৃতীয়,আম উৎপাদনে সপ্তম,আলু ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম এবং মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনে দশম স্থান অধিকার করে কৃষি উন্নয়নের উজ্জল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

খাদ্য ও পুষ্টি দু’টি বিষয় খুবই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। আমরা খাদ্য খাই দেহের পুষ্টি সাধনের জন্য। খাদ্য গ্রহণের ফলে দেহে পুষ্টি উপাদান শোষিত হয় এবং দেহের পুষ্টি সাধন ঘটে। ভালভাবে জীবন ধারণের জন্য আমাদের পুষ্টি সম্পর্কিত জ্ঞান খুবই জরুরি একটি বিষয়। দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব হলে দেহে নানাহ সমস্যা তৈরী হয়। আমাদের মত দরিদ্র দেশে পুষ্টি সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের পুষ্টি সমস্যা খুবই প্রকট। অনেকেই পুষ্টি উপাদান, তার উৎস, অপুষ্টিজনিত সমস্য ও তার প্রতিকার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নাই।

স্নেহ পদার্থ-আমিষের মত প্রানী এবং উদ্ভিদ দুই উৎস থেকেই পাওয়া যায়। যেমন ঘি, মাখন, চর্বিযুক্ত মাংস, চর্বিযুক্ত মাছ ইত্যাদি প্রানী থেকে এবং সরিষার তেল, তিলের তেল, বাদামের তেল, সয়াবিনের তেল ইত্যাদি উদ্ভিদ থেকেে পাওয়া যায়।

তেল/স্নেহ পদার্থের কাজ:
দেহে শক্তি সরবরাহ করে (১ গ্রাম থেকে ৯ ক্যালরী পরিমান শক্তি পাওয়া যায়)। দেহের ত্বককে মসৃন রাখে এবং দেহকে আঘাত থেকে রক্ষা করে।খাবারকে সু-স্বাদু ও মুখরোচক করে। তেল থেকে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড সরবরাহ করে, যা দেহের বৃদ্ধি, ত্বকের মসৃনতা রক্ষা করে এবং হৃদপিন্ডের সঞ্চালনে সহায়তা করে। সবজিতে অবস্থিত ভিটামিন এ, ডি, ই, কে আমাদের শরীরের জন্য গ্রহণোপযোগী করতে হলে সবজি কে তেল দিয়ে রান্না করে খেতে হবে।

সুষম খাদ্য বলতে এমন সব খাদ্য বোঝায় যা শরীরের প্রয়োজনীয় সবকটি পুষ্টি উপাদান (যথা- আমিষ, শ্বেতসার, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খাদ্যপ্রাণ, খনিজ লবণ এবং পানি) সঠিক পরিমাণে সরবরাহ করে থাকে। সুষম খাদ্য দেহের সঠিক প্রয়োজনঅনুপাতে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে দেহকে সুস্থ, সবল, নিরোগ, এবং কর্মক্ষম রাখে। সুষম খাদ্য হল বিভিন্ন খাদ্য একত্রিত করে পরিবেশন এবং গ্রহণ। সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশ্ব খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা নির্দিষ্ট কয়েকটি তথ্য দিয়েছে যথা :

- বৈচিত্র খাবার গ্রহনের মাধ্যমে খাবারের স্বাদ বাড়ানো ও রুচিশীল করে গ্রহণযোগ্য করা।
- খাদ্যের গুনগতমান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- দেহের প্রয়োজনুপাতে পুষ্টি উপাদান সমূহের সরবরাহ করা ।
- দেহকে কর্মক্ষম এবং দেহের কাঠামো মজবুত রেখে দীর্ঘায়ু লাভ করা।

কৃষি ভিত্তিক বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশের প্রায় ৭৫% জনগোষ্ঠি গ্রামে বসবাস করে, যারা কৃষি কাজের সাথে জড়িত। জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ১৪.১০% এবং সরাসরি কৃষিতে নিয়োজিত জনশক্তি ৪০.৬% (বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ-১৭, বিবিএস-১৮)। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের নানামুখী উৎপাদনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এ খাতের সফলতা প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপাদনসমূহ যেমন-কর্মসংস্থান সৃজন, দারিদ্র বিমোচন, মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে চলেছে।

তেলজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদাপূরণ ও আমদানি ব্যয় হ্রাস করা।
প্রচলিত শস্য বিন্যাসে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রমাণিত স্বল্পমেয়াদী তেল ফসলের আধুনিক জাত অন্তর্ভুক্ত করে বর্তমান তেল ফসলের (সরিষা, তিল, সূর্যমুখি, চীনাবাদাম, সয়াবিন) আবাদী এলাকা ৭.২৪ লক্ষ হেক্টর থেকে ১৫-২০% বৃদ্ধি করা।

বিএআরআই ও বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত তেল ফসলের আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং মৌ-চাষ অন্তর্ভুক্ত করে তেলজাতীয় ফসলের হেক্টর প্রতি ফলন ১৫- ২০% বৃদ্ধি করা।মৌ চাষ সম্প্রসারণের ফলে তেল ফসলের পরাগায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া উৎপাদিত মধু থেকে বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরী হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে মাথাপিছু ভোজ্য তেল ব্যবহার বাড়বে এবং পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হবে।

বর্তমানে দেশ দানাজাতীয় খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও তৈল, চর্বি ও প্রোটিনের পুষ্টি সমৃদ্ধ শস্য বিশেষভাবে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে অনেকটাই পিছিয়ে আছে, যা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDGs) ২০৩০ এর পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের যে লক্ষ্যমাত্রা সেটি অর্জনের  একটি প্রধান অন্তরায়। এ কথা অনস্বীকার্য যে, গুণগত মানসম্পন্ন পরিমিত ভোজ্য তেল খাওয়া ব্যতিরেকে পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন সম্ভব নয়, কারণ ভোজ্য তেলে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড যা মানবদেহে তৈরী হয় না। এ ঘাটতি পূরণে ভোজ্য তেল সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। সেজন্য দেহকে সুস্থ্য, সুগঠিত ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর রাখতে নিয়মিত সঠিক পরিমাণ ভালমানের ভোজ্য তেল গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে মানবদেহে দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালরীর ৩০% তেল বা চর্বি জাতীয় খাদ্য থেকে আসা উচিত, কিন্তু আমাদের আসে মাত্র ৯% যা নিতান্তই অপ্রতুল।

বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ভোজ্য তেলের ৯০%ই বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ৪৬.৭১ লক্ষ মে.টন ভোজ্য তেল আমদানী বাবদ ব্যয় হয় প্রায় ২৭,০০০ কোটি টাকা। এ আমদানী নির্ভরতার ফলে একদিকে যেমন বিদেশে প্রচুর অর্থ চলে যাচ্ছে, তেমনি আমদানী ও বিপণনে মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর নির্ভরতা পণ্যটির বাজারকে প্রায়ই অস্থিতিশীল করছে। এখন সময় এসেছে দেশে তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে নিজেদের উৎপাদিত ভেজালমুক্ত তেল ব্যবহার করার। তেলফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির দু’টো কৌশল রয়েছে- একটি হলো বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে হেক্টর প্রতি ফলন বৃদ্ধি (Vertical Expansion) অন্যটি হলো প্রচলিত শস্যবিন্যাসে তেলফসলকে অন্তর্ভুক্ত করে তেল ফসলের আবাদী এলাকা বৃদ্ধি (Horizontal Expansion) । এ মুহূর্তে দেশে প্রায় ২০ লক্ষ হে. বোরো-পতিত-রোপাআমন শস্যবিন্যাস প্রচলিত আছে যাকে সরিষা-বোরো-রোপাআমন শস্যবিন্যাসে রুপান্তরিত করতে পারলে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি অনেকাংশে সম্ভব। এ শস্য বিন্যাসটি প্রবর্তনের জন্য প্রয়োজন স্বল্প মেয়াদী রোপাআমন (জীবনকাল ১১০-১১৫ দিন) এবং স্বল্প জীবনকালের সরিষার জাত (জীবন কাল ৭৫-৮০ দিন) বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোমধ্যে স্বল্প মেয়াদী জাত অবমুক্ত করা হয়েছে যা এখন সহজলভ্য। তাছাড়া অন্যান্য তেল ফসল যেমন-তিল, চিনাবাদাম, সয়াবীন এবং সূর্যমূখীর বেশ কিছু উন্নত জাত রয়েছে যেগুলো উচ্চফলনশীল হওয়ায় চাষের আওতায় এনে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। উল্লেখ্য যে, দেশে তেলজাতীয় ফসল সুর্যমুখী আবাদের একটি অপার সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। দেশের দক্ষিনাঞ্চলে ফসলটি চাষাবাদে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় ঘানিতে নিষ্কাশন করে লোকজন ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার ও করছেন। উচ্চফলনশীল খাট জাতের প্রচলন এবং উপযুক্ত বাজার মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে এ তেল ফসলটির আবাদ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বর্তমানে তেল ফসলের আবাদী জমি ৭.২৪ লক্ষ হেক্টর থেকে ১৫% বৃদ্ধি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মৌচাষকে অন্তর্ভুক্ত করে হেক্টর প্রতি ফলন ১.৩৪ মে.টন থেকে ১৫% বৃদ্ধি করতে পারলে দেশে অতিরিক্ত ১.২৫ লক্ষ মে.টন তেল উৎপাদন করা সম্ভব যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, মৌ-চাষ পরাগায়ণের মাধ্যমে কেবল তেল ফসলের উৎপাদনই বাড়ায় না পাশাপাশি মধুও উৎপাদিত হয় যা থেকে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং আলাদা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করা সম্ভব। এ সকল দিকগুলো বিবেচনা করে তেলজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পূর্বক ভোজ্য তেলের চাহিদাপূরণ ও আমদানীব্যয় হ্রাস করণের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মানুষ বাড়ছে জমি কমছে সেজন্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির চাপ আমাদের রয়েছে, ফলে অল্প জমিতে অধিক ফসল ফলানোর তাগিদও বাড়ছে। লক্ষ্য হচ্ছে এক জমি থেকে বছরে তিন ফসল ফলানো। আর এজন্য এমন সব ফসলের জাত প্রয়োজন যেন জমি প্রস্তুতের সময় ব্যতীত বাকি সময়ে তিনটি ফসল কেটে নিয়ে আসা যায়। অনেক শস্য বিন্যাসে, যেমন  সরিষা-বোরো-রোপা আমন-এ তিনটি  ফসলের জাত এমনভাবে নির্বাচন করতে হবে যেন ৩২০-৩৪৫ দিনের মধ্যে তিনটি  ফসলই সংগ্রহ করা যায়।

আমাদের ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে এবং তা সম্ভব তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ভোজ্যতেলের জন্য বছরে আমাদের প্রায় ২৪ -২৭ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয় এর সিংহভাগ খরচ হয় পাম অয়েল ও সয়াবিন তেল আমদানি করতে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায়  হলো আমদের দেশের কৃষি-পরিবেশ উপযোগী তেল উৎপাদনকারি  তেলবীজ ফসল যেমন-সরিষা, তিল, তিসি, সূর্যমুখী ইত্যাদি এর উৎপাদন বৃদ্ধি করা। ধান যেহেতু কৃষকদের প্রধান ফসল, তাই কৃষক সাধারণত তা চায় না  ধানের ফলন কমে যাক বরং মাঝখানে একটি বাড়তি ফসল পেতে চান কৃষক। ফলে কৃষকরা স্বল্পমেয়াদি কিন্তু অধিক ফলনশীল জাত পছন্দ করেন। ধানের স্বল্পমেয়াদি আমন ধানের চাষ করা, বিনা ধান -৭, ১৬  ব্রি ধান-২৮,৩৩,৩৯,৪৯,৫৬.৫৭, ব্রি হাইব্রিড ধান ৪ বাউ ধান-১ ও বোরো ধানের জাত যথাযথ ভাবে  চাষাবাদ করতে পারলে ফলন খুব একটা না কমিয়ে ২৩০-২৫০ দিনের মধ্যে দুটি ধান ফসল সহজে সংগ্রহ করা সম্ভব। কৃষকের কাছে সে রকম জাতের তথ্য পৌঁছে দেওয়া এবং শস্যবিন্যাসে এদের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা বড় প্রয়োজন। আর সেটা পারলে দুই ধানের মাঝখানে ৮০-৯০ দিনের উচ্চফলনশীল সরিষার জাত বারি সরিষা ১৪,১৫,১৭, বিনা সরিষা ৯.বাউ সরিষা ১,২,৩ আবাদ করা সম্ভব।

-লেখক:উপপরিচালক (এল.আর), সংযুক্ত
উদ্ভিদ সংগনরিোধ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
ইমেইল: This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it.