ব্রি'র পরিচালক (গবেষণা) পদে দায়িত্ব পেলেন বরেন্য ধান বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর পরিচালক (গবেষণা) পদে দায়িত্ব পেলেন বিশিষ্ট ধান বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা-৩ অধিশাখার উপসচিব দিল আফরোজা বেগম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয় পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার (সিএসও), জিআরএস বিভাগ, ড: মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান-কে ব্রি-এর পরিচালক (গবেষণা) পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উক্ত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার হাড়িসাংগান গ্রামে ১৯৬৭ সালের ৫ এপ্রিল এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ তম ব্যাচের সোনালী অর্জন ড.খালেকুজ্জামান নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তিতে এগ্রিলাইফ২৪ ডটকমকে তার অনুভূতি ব্যাক্ত করে বলেন, বর্তমান কৃষি Precision Agriculture যুগে প্রবেশ করেছে। কাজেই সঠিক তথ্য ও ডাটা প্রয়োগের মাধ্যমে যুগোপযোগী আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগুলির বাস্তবায়ন জরুরি। ধানের জাত উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এখন কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ছাড়া কোন বিকল্প নাই। এসব কাজে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আরো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি তার সর্বোচ্চ মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে ব্রি'র কার্যক্রমকে  আরো এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় ড.খালেকুজ্জামান মাননীয় কৃষিমন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ ব্রি'র ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, সহকর্মী, শ্রমিক-কর্মচারী, সেক্টরের গবেষকবৃন্দ, শুভানুধ্যায়ী সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।

ড.খালেকুজ্জামান ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২৭ বছর একজন  যোগ্য ধান গবেষক হিসেবে জিআরএস বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তার হাত ধরে এ প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কার্যক্রম আরো এগিয়ে যাবে এমনটাই আশা প্রকাশ করেন কৃষিবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানীরা।