বাকৃবির অষ্টম সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন সাড়ে ৬ হাজার গ্রাজুয়েট

আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি:আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে সমাবর্তনটি অনুষ্ঠানটি হবে। এবারের সমাবর্তনে ছয় হাজার ৫২২ জন গ্রাজুয়েট অংশ নিচ্ছেন। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে গোল্ড মেডেল পাচ্ছেন মোট ২০১ জন।  রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দীন মোহাম্মদ দীনু বলেন, জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্নাতক, জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে এপ্রিল-সেপ্টম্বর ২০২২ পর্যন্ত  স্নাতকোত্তর এবং ২০১৬ থেকে অদ্যবধি পিএইচডিসহ মোট ১৩ হাজার ৩৮৯ জন গ্রাজুয়েট এ সমাবর্তনের আওতাভুক্ত ছিল। এর মধ্যে সমাবর্তনের জন্যে মোট ছয় হাজার ৫২২ জন গ্রাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে ৫৬ জন পিএইচডি, এক হাজার ৫১৯ জন স্নাতকোত্তর এবং চার হাজার ৯৪৭ জন স্নাতক গ্রাজুয়েট।

অষ্টম সমাবর্তনের জন্যে এবার গোল্ড মেডেল বা স্বর্ণপদকের জন্যে মনোনীত হয়েছেন মোট ২২৪ জন। যার মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০৬ জন এবং স্নাতক পর্যায়ে ১৮ জনসহ মোট ২২৪ জন মনোনীত হয়েছে। এদের মধ্যে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত স্নাতকোত্তর ১৮৩ জন এবং স্নাতক ১৮ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নকারী মোট ২০১ জন সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পাবেন। এছাড়া স্নাতক অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হয়েছেন মোট ৫০ জন। যার মধ্যে ৪২ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুশাসন অনুযায়ী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

সমাবর্তন বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে সমাবর্তন আয়োজন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। একসাথে অনেক গ্র্যাজুয়েটকে নিয়ে সমাবর্তন হতে যাচ্ছে,  যা বাকৃবির ইতিহাসে অন্যতম বড় একটি সমাবর্তন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাষ্ট্রপতি ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছেন না। বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে সমাবর্তন আয়োজন করতে পেরে ভালো লাগছে।