একজন রানু স্যারের অকাল মৃত্যু আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি!

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।। বাকৃবির বাকৃবির মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসাইন (রানু) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল এগারোটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সবার প্রিয় রানু স্যার ম্যাসিভ হার্ট এটাকে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। চোখের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে অসংখ্য স্মৃতি ভেসে উঠলো। সারাটি দিন খুব অসহায় এবং মনটা একেবারে অবশ লাগছিল। জীবনের সমাপ্তির তারিখ তো আমাদের কারো জানা নেই। তবু বন্ধু রানুর চিরবিদায় যেন এখনও অবিশ্বাস্য।

তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত মেধাবী অধ্যাপক এবং বিশ্ববরেণ্য গবেষক যা শুধু বাকৃবি নয় জাতীয়ভাবে এ ক্ষতি অপূরনীয়। সপ্তাহ ২/৩ আগে স্যারের অনন্য সৃষ্টি মৎস্য যাদুঘর নিয়ে রিপোর্ট লিখতে গিয়ে স্যারের কথা অত্যন্ত যত্নসহকারে লিখেছি, স্যারের মোবাইল নম্বর দিয়েছি ঢাকার সাংবাদিকদের, তারা স্যারের কমেন্টস ছেপেছে গুরুত্বের সাথে।

অধ্যাপক রানু স্যার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্য অনুষদে স্নাতক এবং স্নাতকাত্তর উভয় পরীক্ষায়ই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিল। কিন্তু সকল অনুষদের সকল বন্ধুদের নিকট তিনি ছিলেন খুবই প্রিয়। অসাধারন বন্ধুবৎসল। ছাত্রছাত্রীদের প্রিয় রানু স্যার ।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ অনেক দেশেই বৃত্তি/ফেলোশিপ নিয়ে দীর্ঘসময় উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় নিজেকে গড়ে তুলেছিল একজন বিশ্বমানের অধ্যাপক এবং গবেষক হিসেবে। অত্যন্ত মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন তিনি।

জানি এ পৃথিবীতে আর কখনো আসবেন না তিনি , তবে তাঁর কর্ম বাকৃবিতে মাৎস্য মিউজিয়াম, অগণিত বন্ধু, ছাত্রছাত্রী, শুভানুধ্যায়ীদের নিকট রানু অমর হয়ে থাকবে। বিশ্ব জ্ঞানভান্ডারে মোস্তফা আলী রেজা হোসাইন তাঁর অসংখ্য মৌলিক গবেষণায় অমর হয়ে রইবে। তাঁর গবেষণা প্রবন্ধগুলি ইতোমধ্যে সর্বমোট ২২০২ বার সাইটেড হয়েছে, আরও হবে।

মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা যেন অধ্যাপক রানু স্যারের পরিবারকে এ শোক সইবার শক্তি দেন এবং তার বিদেহী আত্মাকে বেহেশত দান করেন।

মৌলিক গবেষণা, শিক্ষকতা এবং মাৎস্য মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠাসহ অনন্যসাধারন অবদান বিবেচনা করে তাঁকে হয়তোবা শীঘ্রই বড় কোন মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হবে-এ প্রত্যাশায় রইলাম।