বাকৃবি ছাত্রলীগের সুনাম ফেরাতে কাজ করতে চান নতুন সভাপতি

আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি:সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আংশিক কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ মেহেদী হাসান মনোনীত হয়েছেন।  

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর অনুভূতি জানতে চাইলে খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অতীত ইতিহাস অনেক গৌরবান্বিত। কিছু কারণে সেটি ম্লান হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এ ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের যে সুনাম ছিল সেটি ফিরিয়ে আনাই এখন আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ, এ ক্যাম্পাস থেকে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতির হাল ধরেছিলেন প্রয়াত কৃষিবিদ ড. আব্দুল মান্নান এমপি। বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক এমপি মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। যার কারণে কৃষিতে আমাদের উৎপাদন ও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। আরো ছিলেন জনপ্রিয় নেতা কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, আছেন ড. আওলাদ হোসেন, সরোয়ার মুর্শেদ জাস্টিস, ইমনভাইসহ অনেক বড় ভাই আমাদের পূর্বসূরী, তারা এ ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের শৃঙ্খল রাজনীতির মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

এর আগের কমিটি দীর্ঘদিন থাকার কারণে অপরাজনীতি ও ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিমধ্যে সেগুলো বন্ধে আমি কাজ শুরু করেছি। সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমি কাজ করে যাবো। ২০২৩ সালে জাতীয় নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে, সে নির্বাচনে বাকৃবি ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য ক্যাম্পাসের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।

রিয়াদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের সর্বশেষ অর্থাৎ ১৯৭৪ সালের বিজয় দিবসের ভাষণে বলেছিলেন: 'একটি কথা আমি প্রায়ই বলে থাকি। আজো বলছি, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।' সেদিন তিনি আরো বলেছিলেন, 'চরিত্রের পরিবর্তন না হলে এ অভাগা দেশের ভাগ্য ফেরানো যাবে কিনা সন্দেহ। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও আত্মপ্রবঞ্চনার ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের সবাইকে আত্মসমালোচনা, আত্মসংযম এবং আত্মশুদ্ধি করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি আপনার কর্তব্য দেশের জনগণের প্রতি কতটা পালন করেছেন, সেটাই বড় কথা।' চরিত্র পরিবর্তনের যে কথা তিনি বলেছিলেন তা বর্তমান ছাত্রসমাজের ক্ষেত্রে একান্তই প্রযোজ্য। কারণ কৃষক-শ্রমিকের পর দেশের উন্নয়নের চাকা ঘুরছে তাদের হাত দিয়ে। জাতির জনক যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলায় বারবার বলতেন, স্বাধীনতা অর্জন করা যত সহজ, রক্ষা করা আরও কঠিন। তিনি স্বাধীনতার অর্জনকে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে নিতে আদর্শ ও ত্যাগের মহিমায় একটি জাতিকে নৈতিক চরিত্রে দাঁড় করানোর আকুতি জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা একের পর এক বাস্তবায়ন করে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগ ভালো থাকলেই ভালো থাকে আওয়ামীলীগ, ভালো থাকে দেশ। দেশে অনেক মেগা প্রকল্প চলছে, এগুলোর কাজ শেষ হলে উন্নত দেশের কাতারে নাম লেখাবে বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপে ভ্যানগার্ড হিসাবে কাজ করবে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ।