রাবির ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের পূর্ববর্তী ডীনের বিদায় সংবর্ধনা, নতুন ডীনকে বরণ ও পুনর্মিলনী-২০২২

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রথম নির্বাচিত ডীন প্রফেসর ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদারকে বরণ ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ডীন-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পাশাপাশি একই দিনে পরিবারের সদস্যসহ অনুষদের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  পূণর্মিলনী অত্যন্ত হৃদ্যতা ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (১৫ জানুয়ারী) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারিকেলবাড়ীয়া ক্যাম্পাসে এ উপলক্ষে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাবি ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রথম নির্বাচিত ডীন প্রফেসর ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার।

অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফুর্ত ও সক্রিয়ভাবে  অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সকলের পরিবারের সদস্যগণকে ধন্যবাদ জানান ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন  ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার। তিনি বলেন,  শিক্ষা-কারিকুলাম ও কাঠামোগতসহ সকলক্ষেত্রে কাংখিত উন্নয়নের মাধ্যমে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈর্শ্বণীয় অনুষদে পরিনত করার জন্য তিনি তাঁর লালিত স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশ করেন এবং এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষদের জৈষ্ঠ শিক্ষক প্রফেসর ড. সৈয়দ সরওয়ার জাহান তাঁর বক্তব্যে এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন সরদারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এরককম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষদের শিক্ষক ও কর্মকর্ত-কর্মচারীদের মধ্যে বিদ্যমান হৃদ্যতা শুধু অটুট থাকবে না এর সাথে সাথে তা আরো সম্প্রসারিত হবে যা অনুষদের শিক্ষার পরিবেশ ও মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন এবং সূচনাকৃত এ শুভকর্মের ধারিবাহিকতা অব্যাহত রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অনুষদের অন্যতম জৈষ্ঠ শিক্ষক ও প্রাক্তন বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম কামরুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে অত্যন্ত আনন্দঘন ও হৃদ্যতাপূর্ণ নির্মল পরিবেশে অনুষ্ঠিত পুরো আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং নতুন ডীনের পথচলা সকলের সহযোগিতায় অত্যন্ত সাফল্যমন্ডিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষদের শিক্ষক ড. মোঃ হাকিমুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সার্বিক বিচারে অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এবং অনুষদের উন্নয়নে নতুন ডীনের সাথে আন্তরিকভাবে সহযোগি মনোভাব নিয়ে কাজ করবেন বলে স্বতঃস্ফুর্ত অঙ্গীকার ব্যক্ত করার পাশাপাশি সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



ড. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য ড. সরদারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং এটি সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে বিদ্যমান সেতুবন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন।

প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুল ইসলাম অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আল্লাহর রহমতে ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় নতুন ডীনের সুপরিকল্পিত ও সৃজনশীল অগ্রযাত্রার মাধ্যমে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আত্মবিশ্বাসী মনোভাব ব্যক্ত করেন।   

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ড. শশী আহমেদ, ড. আফিয়া খাতুন, ড. ত্যেফিক আনাম আজাদ, ড. মোঃ রায়হান গফুর, ড. সাজিয়া রহমান, ড. লাভলী নাহার, ডাঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, ইশরাত জেরিন মনিসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ স্বতঃস্ফুর্ত ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করেন ও অনুষদের সার্বিক উন্নয়নে নতুন ডীনের সাথে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  

সদ্য প্রফেসর পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ড. রাশিদা খাতুন অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য সর্বক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। নতুন ডীনের সাথে একত্রে কাজ করার জন্য নিজের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং অনুষদের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকেও আন্তরিকভাবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানটিকে সূচারুরুপে আয়োজন ও পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চীফ ভেটেরিনারি অফিসার ড. মোঃ হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।



অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুষদের পিএইচডি ফেলো ও রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা ট্রেনিং অফিসার মোঃ ইসমাইল হক এবং প্রাথমিক প্রাণিচিকিৎসক মোঃ জাহিদ হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় উপ-উপাচার্য ড. চৌধুরী মোঃ জাকারিয়া উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাঁর নিকট আত্মীয় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি আসতে পারেননি। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, আমন্ত্রিত অতিথি এবং তাদের ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে ৭টি ইভেন্টে আকর্ষনীয় ক্রীড়া প্রতিযিাগিতা ও মনোজ্ঞ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সম্পর্কে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষকই তাঁদের মতামত ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।