বাকৃবিতে ট্রেন থামানোর জোর দাবি শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থাকলেও সেখানে থামেনা কোনো ট্রেন। কয়েক বছরের পরিক্রমায় টিকিট কাউন্টার ও সিগন্যাল ইউনিটটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়েই দিব্যি ঢাকা-ময়মনসিংহগামী ১৫টির বেশি ট্রেন চলাচল করে। রেল কেন থামে না তার কারণও অনেকেরই অজানা। এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা শুনেছেন আবুল বাশার মিরাজ-

ইমতিয়াজ আবির (ভিপি, ভেটেরিনারি অনুষদ ছাত্র সমিতি): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় সমকালীন সময়ে স্থাপন করা হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটফর্ম। আমরা আমাদের অগ্রজদের কাছে শুনেছি আশির দশকেও জমজমাট ছিলো এই প্লাটফর্ম, তখন এই প্লাটফর্মে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী সকল ট্রেন থামতো। তখন শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একটি নির্ভরযোগ্য বাহন ছিলো ট্রেন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এই প্লাটফর্মটিতে বর্তমানে দু একটা লোকাল ট্রেন ব্যতীত আর কোন ট্রেন থামে না। অথচ পূর্বের তুলনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ বা চারগুণ হয়েছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যেখানে এই প্লাটফর্মের সুযোগ সুবিধা বাড়ার কথা ছিলো, সেখানে উল্টো এই প্লাটফর্মটি এখন দর্শনার্থীদের ছবি তোলার স্থানে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে চাকুরির বেশিরভাগ পরীক্ষা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যেক সপ্তাহেই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের ঢাকা যেতে হয়। এক্ষেত্রে তাদের যাতায়াতের সম্বল বাস অথবা ট্রেন। বাসে যেতে হলে যেতে হয় শহরের মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডে আর ট্রেনে যেতে হলে শিক্ষার্থীদের ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে হয়। ঢাকা থেকে এসে নামতেও হয় ময়মনসিংহ শহরের স্টেশনে গিয়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরীক্ষা দিয়ে আসতে আসতে গভীর রাত হয়ে যায়। আর এই রাতের বেলায় শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসতে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের যানবাহন স্বল্পতার কারনে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, তেমনি ছিনতাইকারীদের কারনে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে হয়। সবচেয়ে সমস্যার স্বীকার হয় মেয়ে শিক্ষার্থীরা। তাদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। অথচ ঢাকাগামী প্রত্যেকটি ট্রেন আমাদের ক্যাম্পাসের উপর দিয়েই যাতায়াত করে। কর্তৃপক্ষ চাইলেই শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বাকৃবি স্টেশনটি সচল করতে পারে।

বিগত কয়েক মাস যাবত দেখছি শিক্ষার্থীরা চাকুরির পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা থেকে আসার সময় ক্যাম্পাসের মধ্যে এসে ট্রেনের শিকল টেনে নেমে পড়ছে। গত সপ্তাহে শুনেছি এক শিক্ষার্থী ভুলক্রমে শিকল টানার কারনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার আগেই ট্রেন থেমে যায়। আর সেখান থেকে সকল শিক্ষার্থীদের হেঁটে ক্যাম্পাসে আসতে হয়। তাছাড়া এই শিকল টানার ঘটনায় একদিকে যেমন ট্রেন সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না, অপরদিকে বিভিন্ন বগিতে এক বা একাধিক জন শিকল টানার কারনে যেকোন সময় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ অতিদ্রুত তারা যেন রেলওয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বাকৃবি প্লাটফর্মে সকল ঢাকা গামী ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করেন। এতে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের ঢাকা যাতায়াতের দুর্ভোগ কমবে, তেমনি অপরদিকে ট্রেনে যাতায়াতকারী সকল যাত্রীরাও শিকল টানার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হবেন।

মুরাদ মুরশেদ ( জিএস, ভেটেরিনারি অনুষদ ছাত্র সমিতি): বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবিগুলোর অন্যতম পুরাতন একটি দাবি হচ্ছে বাকৃবিতে পূর্ণাঙ্গএকটি রেলস্টেশন স্থাপন। বাকৃবির ভিতর দিয়ে ঢাকার সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ থাকার পরেও জরুরী প্রয়োজনে ট্রেন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, অনুষদীয় ছাত্র সমিতিসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্রসাশনের কাছে দাবি জানালে আশ্বাস ছাড়া এখন পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায় নি। শুক্রবার-শনিবার চাকুরির পরীক্ষা দিতে শত শত শিক্ষার্থীদের ভোর চারটার ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে পৌছানো এবং পরীক্ষা শেষে মধ্য রাতে স্টেশন থেকে থেকে ক্যাম্পাসের অনুমানিক ৬ কিমি অটোরিকশায়  চলাচলে নিরাপত্তা ঝুকিতে পড়তে হচ্ছে। আমাদের বোনদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি আরো বেশী। সুতরাং আশা করি, প্রায়োরিটি বেসিসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের এই দাবি পূরণে প্রসাশন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

শাহেদ হোসাইন (জিএস, কৃষি অনুষদ):এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার ছাত্রছাত্রী সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও ময়মনসিংহ-ঢাকাগামী ট্রেনে যাতায়াত করেন। বর্তমানে এই রুটের মহাসড়কের জ্যাম এবং রাস্তার বেহাল দশার জন্য ছাত্রছাত্রীরা বাসের বিকল্প হিসেবে ট্রেনে যাতায়াত পছন্দ করেন। তবে ইদানিং প্রায় সকল চাকুরী পরীক্ষা ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ায় ট্রেনের উপর আমরা ছাত্রছাত্রীরা আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। তবে ভোরের ট্রেনে উঠার জন্য আমাদের গভীর রাতে ময়মনসিংহ স্টেশনে যেতে হয়, যেটা আমাদের ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৫-৬ কি.মি. দূরে। পথমধ্যে প্রায়শই হয়ে যাওয়া ছিনতাই এবং বিশেষ করে এতো রাতে মেয়েদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের প্রধান সমস্যার আলোচ্য বিষয়। আবার, ঢাকা-ময়মনসিংহ এর রাতের ট্রেনে ক্যাম্পাসে ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত ১২ টা অতিক্রম করা, এই বিষয়টিও আমাদের সবার নিরাপত্তা এবং একই পথ ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসা কষ্টকরও বটে। এমনকি গত বছরের ২১ অক্টোবর রেলমন্ত্রী নিজে ময়মনসিংহতে এসে বাকৃবিতে ট্রেন থামার পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেশন চালুর কথা বলে গেছেন। ওনার এই আশ্বাসের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রেখে অতিদ্রুত বাকৃবিতে ঢাকাগামী সকল ট্রেন থামার পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেশন চালুর বিষয়টি বাস্তবায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি। এর ফলে বাকৃবি এর শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আশেপাশের এলাকার মানুষরাও অনেক উপকৃত হবেন।

আরএম সাইম (মাস্টার্স শিক্ষার্থী, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ):ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫ কিলোমিটারের বেশি দূরতে অবস্থিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নানাবিধ কাজেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলাতে যেতে হয়। খুব ভোরবেলা (সকাল ৪ টা) ট্রেনে রওনা দিয়ে সারাদিন কাজ করে রাতের ট্রেনে ময়মনসিংহে ফিরে আসতে গেলে, স্টেশন থেকে বাকৃবি আসা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠে। এজন্য অনেক শিক্ষার্থীরাই রাতের ট্রেন ভ্রমন থেকে বিরত থাকেন। যেসকল শিক্ষার্থীদের ঢাকায় রাতে থাকার ব্যবস্থা নেই, তাদের একদিকে যেমন যানবাহনবাবদ অনেক বেশি অর্থ ব্যয় হয় অন্য দিকে বিভিন্ন ধরনের ঝুকিতে পড়তে হয়। তাছাড়া, পরের দিন ক্লাস বা এক্সপেরিমেন্টের তথ্য সংগ্রহ থেকে বিরত থাকতে হয়। ঢাকা থেকে আগত যে সকল ট্রেনগুলো রাত ১০ টার পর এবং ভোর ৪ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত যে সকল ট্রেনগুলো ময়মনসিংহ অতিক্রম করে সেগুলো বাকৃবি রেলস্টেশনে অন্তত ৫ মিনিটের জন্য একটু বিরতি দিলে শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।

মতিউর রহমান সুমন (মাস্টার্স শিক্ষার্থী, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ): চাকরী পরীক্ষার্থীদের কষ্ট কে বুঝবে? সকাল ১০ টায় পরীক্ষা থাকলে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন এ ভোর চারটার ট্রেন ধরতে হয়। এই ট্রেনটি ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে ৮ টা, ৮:৩০ টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাত ৩ টায় স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়, পাওয়া যায় না কোন যান অটো কিংবা রিক্সা। এতো রাতে থাকে ছিনতাইয়ের ভীতি। একই রকমভাবে ঢাকা থেকে আসার সময় রাত ১০ টা অতিক্রম করে ময়মনসিংহ স্টেশনে পৌঁছাতে। এসে পাওয়া যায় না হোটেলের খাবার। নিজের চোখের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলো ট্রেন দেখলাম চেয়ে চেয়ে হল গুলোর লাইট, বাকৃবির নীরব-নিঃস্তব্ধ প্লাটফর্ম। কেন ট্রেন থামে না ভার্সিটিতে, কত শত শিক্ষার্থীর কষ্ট কেউ কি নেই বুঝবার?

জাকি রিজওয়ান (মাস্টার্স শিক্ষার্থী, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ) : চাকুরী প্রত্যাশী ভাই বোনের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাকৃবি রেলস্টেশনে  ঢাকা অভিমুখী ৭৩৬ যমুনা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ৭৪৩ ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এর যাত্রাবিরতি ভীষণভাবে দরকার। কারণ প্রায় প্রতি সপ্তাহের ২দিন শুক্রবার এবং শনিবার ১০০০ এরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী এই ঢাকা-ময়মনসিংহ আসা যাওয়ার পথে এই ট্রেনকেই বেছে নেয়,  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অন্তত ২টি ট্রেনের স্টপেজ অর্জনে ব্যর্থতার পরিচয় নিয়মিতই দিয়ে যাচ্ছে, তাই চাকুরী প্রত্যাশীগণ নিরুপায় হয়ে ট্রেনের ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়মিতভাবেই টানতে বাধ্য হচ্ছে, এতে করে ট্রেনের যন্ত্রগত কৌশলে কম ক্ষতি হচ্ছেনা। তাই অনতিবিলম্বে আমাদের এই যৌক্তিক আবেদন মঞ্জুর করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

তারেক মাহমুদ উদয় (শিক্ষার্থী, প্রথম বর্ষ, ভেটেরিনারি অনুষদ): প্রকৃতিকন্যা নামে পরিচিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানী ঢাকা থেকে ১২০ কি মি দূরে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণে কাজ করে আসছে আমাদের কৃষিবিদরা। রাজধানী থেকে অনেকটা দূরে হবার কারণে নাগরিক জীবনের চাঞ্চল্যের যে উদ্দীপনা জীবনকে গতিশীল করে, আমরা সেদিকে অনেক পিছিয়ে। যদিও এ দূরত্ব খুব বেশি নয়। ট্রেন যোগে মাত্র ৩ ঘণ্টায় আমরা ঢাকা যেতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় ঘেঁষে চলে গেছে ঢাকা ময়মসিংহ রেললাইন। কিন্তু তবুও আমরা যারা নিয়মিত ঢাকা যাই এবং আমাদের সিনিয়র ভাইয়া আপুদের চাকরির পরীক্ষার জন্যে রাত ২ টা কিংবা ৪ টায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্টেশন যেতে হয়। এই রাস্তায় ছিনতাই এর ঘটনা প্রায়শই ঘটে। তাছাড়া যানবাহন পাওয়া যায় না, তাই দ্বিগুণ এর বেশি টাকা দিয়ে আগে থেকে বাহন ভাড়া করতে হয়। ঢাকা থেকে ফেরার বেলায়ও একই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর বাসে ঢাকা গেলে গাজীপুর- টঙ্গীর জ্যামের মধ্যেই ৫ ঘণ্টা পর হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। অন্তত ৩/৪ মিনিটের জন্যে ট্রেন থামলে আমাদের এই ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যায়। ছাত্রদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা বিবেচনা করে বাকৃবি প্ল্যাটফর্ম ট্রেন থামার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

রায়হান আবিদ (শিক্ষার্থী, প্রথম বর্ষ, পশুপালন অনুষদ): বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা পরিবার থেকে দূরে বন্ধু, সহপাঠী আর সিনিয়রদের সান্নিধ্যে হলে থাকা। তবে ছুটির দিন গুলোতে বাড়ি যাবার এক অফুরন্ত আনন্দ মনে জাগে। আমার বাড়ি ঢাকায় হওয়ায় গাজিপুর চৌরাস্তার যানজট উপেক্ষা করতে সবচেয়ে সেরা উপায় হলো রেলওয়ে মাধ্যম। কিন্তু বাকৃবিতে রেলওয়ে পাল্টফর্ম থাকা সত্ত্বেও থামে না ট্রেন, বরং যেতে হয় ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ময়মনসিংহ জংশন যা গাঙ্গীনাপাড়ে অবস্থিত। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীকে। অনেক সময় রাতে স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসে ফিরতে ছিনতাইয়ের শিকার হতে হয়। সাম্প্রতিক পশুপালন অনুষদের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী রাতের বেলায় স্টেশন থেকে আসার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। তার মুঠো ফোনসহ বাড়ি থেকে আনা মাসিক হাত খরচও চলে যায় দূর্বৃত্তদের হাতে। এই ঘটনাটি যতটা মর্মান্তিক ততটাই জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বাকৃবিতে স্টেশন থাকলে আজ তার মতো কাউকে হারাতে হবে না সর্বস্ব।