বাকৃবিতে ‘শেখ রাসেল স্মৃতি চত্ত্বর’ প্রতিষ্ঠা করা হবে জানালেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান

দীন মোহাম্মদ দীনু:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস  উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে আজ ১৮ অক্টোবর ২০২১ রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আমাদের আবেগ ও ভালোবাসায় শেখ রাসেল- বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি বাকৃবিতে ‘শেখ রাসেল স্মৃতি চত্ত্বর’ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন।

বাকৃবি জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. একেএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর এর কিউরেটর ও সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান।

প্রধান অতিথি ড. শামসুল আলম বলেন শেখ রাসেলের মত আর কোন শিশুর এমন মৃত্যু আমরা দেখতে চাই না।একটি শিশুও যেন আর কখনও এমন নির্মমতার শিকার না হয়। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। দীর্ঘ দিন পরে হলেও দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়ায় আমি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।

মূল আলোচক নজরুল ইসলাম খান বলেন , বঙ্গবন্ধু যেভাবে শেখ রাসেলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন ,সকল শিশু-কিশোরদের ভালোবাসা ও তাদের স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের বঙ্গবন্ধুর রাসেলকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশুরা সঠিকভাবে বেড়ে ওঠতে পারে।তিনি তার বক্তব্যে ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের ভয়াবহতার বিবরণ দেন।

ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র রাসেলের  আর্তচিৎকারে স্রষ্টার আরশ কেঁপে উঠলেও টলাতে পারেনি খুনী পাষাণদের মন। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মত এই নিষ্পাপ মহাশিশুকেও ৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়। তিনি আরও বলেন ,শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালবাসার নাম। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলের দন্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। সেই সকল দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা আজ সময়ের দাবি। আমাদের শিশুদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলতে হবে । তিনি বলেন,শুধু বাংলাদেশেই না, সারা বিশ্বেই যেন শিশু-কিশোররা নিরাপদে থাকে আজকের দিনে এটিই আমার প্রত্যয়।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, বাকৃবি ছাত্রলীগ, অফিসার পরিষদ, কর্মচরী পরিষদসহ শিক্ষক,শিক্ষার্থী ,কর্মচারী, আমন্ত্রিত অতিথিগণ সভায় যোগ দেন।