শিক্ষার্থীহীন বাকৃবি ক্যাম্পাস, ক্রেতা নেই কেআর মার্কেটে

বাকৃবি প্রতিনিধি:করোনায় গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এক বছরের বেশি সময় অতিক্রম করলেও এখনো সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ময়মনসিংহে অবস্থিত ১২০০ একরের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসেও বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম । কিন্তু এই ক্যাম্পাসকে ঘিরে ছিল যাদের দৈনন্দিন আয়ের উৎস। আজ তাদের সে আয়ের উৎসে ভাটা পড়েছে। আর্থিকভাবে ভালো নেই সেখানকার সবজি বিক্রেতারা। কারণ আজ সেই সুবিশাল ক্যাম্পাসে নেই শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কামাল রঞ্জিত (কে.আর) মার্কেটে রয়েছে সবজি বাজার, মাছ-মাংসের বাজার, ঔষদের এবং মুদি দোকানসহ অন্যান্য দোকান। সেখানকার বাজারে ক্রেতারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে মেয়েদের হলের সামনে বাজারটি হওয়ায় মেয়েরাই এখানকার নিয়মিত ক্রেতা। কিন্তু করোনায় হল বন্ধ থাকায় নেই কোনো শিক্ষার্থী। তাই বিপদে পড়েছেন এখানকার বিক্রেতারা। বিশেষ করে সবজি বিক্রেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, এখানে লাভের মুখ না দেখে অনেকে অন্য জায়গায় গিয়ে ব্যবসা করছে। স্যাররাও অন্য বাজার থেকে লোক দিয়ে বাজার করিয়ে আনে। আমরা তাহলে কার কাছে সবজি বিক্রি করবো? আগে ১২০০ টাকার সবজি বিক্রি করলে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লাভ থাকতো। এখন সেটাও হয় না।

এছাড়া আরোও একজন ব্যবসায়ী বলেন, এখন ৫ কেজি সবজি বিক্রি করতে অনেক সময় ২ ‍দিন লেগে যায়। এতে আমাদের লাভ বলতে কিছুই থাকে না। কোনোরকম খেয়ে বেচেঁ আছি। এমনাবস্থা থাকলে আর সবজি ব্যবসা করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।

বাজার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, রমজানে এখন শাক-সবজির থেকে মাছ-মাংস বেশি কিনছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এজন্যে তাদের ব্যবসা খারাপ হচ্ছে। এদিকে বাজারের ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ফান্ড নেই। তবে তাদের সাহায্য করার বিষয়ে ভাবা হবে।