৭৩ জন দুস্থদের মাঝে হাসি ফোটালেন বাকৃবি ছাত্রলীগ নেতা

বাকৃবি প্রতিনিধি:১৯৪৮ সাল থেকে ২০২১। প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর পার করল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যেই মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠনটি। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৭৩ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।

গৌরব, ঐহিত্যের সেই ৭৩ বছরকে স্মৃতি করে রাখতে ও ছাত্রলীগের ভালো কাজগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে ৭৩ জন দুস্থ অসহায় মানুষকে শীতবস্ত্র, খাবার ও মাস্ক তুলে দিয়ে হাসি ফুটিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সদস্য, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের সামনে এ আয়োজন করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি)  ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. রাশেদুর রহমান, প্রাক্তন প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শংকর কুমার দাস ও বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন রিয়াদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলের রিয়াদের এই উদ্যোগ অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে। মুজিব জন্মশতবর্ষে রিয়াদের মত সবাই অসহায় মানুষের জন্য এগিয়ে আসলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা দ্রুতই বাস্তবায়িত হবে।

ব্যক্তি উদ্যোগে মহতী এই আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমার আবেগ অনুভূতি,আমার রক্তে মিশে থাকা নাম। আমার প্রাণের সংগঠনের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় ও দুস্থ ৭৩ জন মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, খাবার ও মাস্ক বিতরণ করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও উনার পরিবার বর্গ যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে দোয়া করা হয়। সকলে আমার জন্যে দোয়া করবেন যেন ভালো কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম অর্জনে কাজ করে যেতে পারি।