পর্দা নামলো ৮ম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর

রাজধানী প্রতিবেদক:তিনদিন ব্যাপী ৮ম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২২" এর সমাপনী অনুষ্ঠান আজ (২০ নভেম্বর ২০২২) রাজধানী বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (আইসিসিবি) তে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ফুড প্রসেসিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে এই ধরনের মেলা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে দাবি আয়োজকদের। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পারস্পরিক বাণিজ্যের প্রসার এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচয় করানোই এই ফুড এক্সপোর উদ্দেশ্য ছিল বলে জানান তারা।

বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা) এবং রেইনবো এক্সিবিশন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড এর যৌথ উদ্যোগে ৮ম বারের মত আয়োজিত হলো। মেলায় দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি যারা সরাসরি ফুড প্রসেসিং সেক্টরের সাথে যুক্ত তারা অংশগ্রহন করেছেন।

অনুষ্ঠিত এই মেলায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এবং দর্শনার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে অত্যন্ত সফলভাবে শেষ হয় মেলা। তিনদিন ব্যাপী এই মেলায় প্রদর্শনী ছাড়াও কারিগরি সেশন যেখানে দেশ-বিদেশের এই খাতের সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞগন উপস্থিত থেকে মেলাকে সমৃদ্ধ করেছেন। এছাড়াও অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিজনেস মিটিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় ইন্ডিয়া, চায়না, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, সুজারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া সহ প্রায় ১৭ টি দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পন্য এবং সেবা প্রদর্শন করেছেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৮ম বাপা ফুডগ্র মেলা কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী, বাপার সাবেক সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাপার সাবেক সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী।



মেলার আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা) জন্মলগ্ন থেকেই ফুড প্রসেসিং সেক্টর এর উন্নয়নের স্বার্থে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনের মূল লক্ষ্যই হলো এই সেক্টরের ক্রমবর্ধমান বিকাশ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া। বিশ্বায়নের এই যুগে, আগত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা ব্যতিত যে কোন খাতে উন্নয়ন করা সম্ভব না। কাজেই বাংলাদেশ যাতে কোনভাবেই এই খাতে পিছিয়ে না যায়, সে ব্যাপারে বাপা সদা সচেষ্ট।

ফুড প্রসেসিং সেক্টর এবং এর সাথে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানের বিকাশ এবং সার্বিক সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বেগবান করতে বাপা সব সময় সচেষ্ট।

বাপা সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে ১৯৯৮ সালে ১৩ জন সদস্য নিয়ে। বর্তমানে বাপার সদস্য সংখ্যা ৪৭৯ যারা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশ্বের ১৪০টি দেশের রপ্তানি করে চলেছে। বিগত অর্থবছরে খাদ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাপা'র সদস্যগন ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন। বাপা বাংলাদেশের সকল কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পের শীর্ষ সংস্থা যা দেশে এবং বিদেশে ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে বাপা এর সদস্যরা ১৪৪ টিরও বেশি দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করছে এবং গত অর্থবছর ২০২১-২০২২ রপ্তানি মূল্য ৬৪৬০ মিলিয়ন। বাপা আশাবাদী বাংলাদেশ শীঘ্রই কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি থেকে ২ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে।