ঢাকায় "Novel Aquafeed Solutions for Sustainable Aquaculture" লঞ্চিং করলো Kemin AquaScience™

বিজনেস রিপোর্টার: মাছ হল প্রোটিনের অন্যতম উৎস যা বৈশ্বিক খাদ্য সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণিজ প্রোটিনের তাজা, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী উৎসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে টেকসই মৎস্য চাষে উচ্চ মানের ফিস ফিড এবং প্রিমিক্স/এডিটিভস্ এর প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিশ ফিড উৎপাদনকারীর পাশাপাশি চিংড়ি এবং মাছ চাষিরা এর জন্য চায় টেকসই প্রযুক্তি এবং সমাধান যা তাদের ব্যবসাকে লাভজনকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে। সে লক্ষে Kemin AquaScience™ বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে কাজ শুরু করেছে।

আজ (১৮ জুন) শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় রাজধানীর ঢাকার অভিজাত রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত "Novel Aquafeed Solutions for Sustainable Aquaculture" শীর্ষক একটি লঞ্চিং অনুষ্ঠানে এসব বিষয়গুলি জানালেন Kemin AquaScience™-এর কারিগরী বিশেষজ্ঞরা।



অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন  Kemin AquaScience™ রিজিওনাল ডিরেক্টর (সাউথ এশিয়া) Mr. Krishnan P

তিনি আগত অতিথিদের কেমিন একুয়া সাইন্স-র শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন কেমিন দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের মৎস্য শিল্পের উন্নয়নে গবেষণাধর্মী পণ্য ও সেবা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আজকের এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের একুয়া সেক্টরকে সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করেন তিনি ।

এরপর "Overcoming of using alternative ingredients in aquafeed" শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহন করেন Dr. Orapint Jintasataporn Associate Professor, Department of Aquaculture, Faculty of Fisheries, Kasetsart University. Bangkok, Thailand.

Dr. Orapint বলেন, এখন একুয়াকালচারে বিকল্প উপায়ে ফিস ফিড উৎপাদনের বিষয়গুলি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এসময় তিনি এ লক্ষে করণীয় ও এর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।



পরবর্ত্তীতে Mr. Krishnan P এবং কেমিন-এর ডিরেক্টর মি: সুশান্ত দে Kemin AquaScience™-এর একুয়া প্রড্ক্টগুলির গ্র্যান্ড লঞ্চিং করেন।

এরপর "Kemin's solution to overcome the limitation of alternative ingredient in fish feed" শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহন করেন Mr. Grin Swangdacharuk Product Manager, Kemin AquaScience™



Mr. Grin বলেন, মৎস্য খাদ্য তৈরি করতে খুবই মানসম্পন্ন কাঁচামাল ব্যবহার করতে হয়। বর্তমান সময়ে ফিড উৎপাদনের প্রতিটি কাঁচামালের দাম সারাবিশ্বেই ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। সেজন্য ফিস ফিড উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতিটি কাঁচামাল থেকে যেন সর্বোচ্চ পরিমাণ পুষ্টি আহরণ করা যায় সেটির দিকে নজর দিতে হবে। ফিড কনভার্শন রেশিও বৃদ্ধির মাধ্যমে একোয়া কালচার-এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে Kemin AquaScience™ বলে উল্লেখ করেন তিনি।



কারিগরী আলোচনার শেষভাগে "Improving profitability by optimizing the feed milling efficiency"-এর উপর আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন Mr. K Satish, Regional Business Manager- MillSMART,KAS (Kemin Application Solutions)

Mr. K Satish বলেন, প্রত্যেকটি ফিস ফিড কোম্পানি বা উদ্যোক্তা চান তাদের ব্যবসায়িক মূল নীতির উপর ভিত্তি করে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি সাধন করা। ব্যবসার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে একজন ফিড মিল ম্যানেজার পারেন তার কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতার উন্নয়ন করা। এর উপর উপর ভিত্তি করে মূল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি যা ব্যবসাকে লাভজনক করার পাশাপাশি উত্পাদনশীলতা বাড়াবে, সেইসাথে ফিড উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেবে। এসব বিষয়গুলি Mr. K Satish সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন।



অনুষ্ঠানের মাঝে এক প্রানব্ন্ত  প্যানেল সেশনের আয়োজন করা হয় এ সময় Kemin AquaScience™-এর কারিগরী বিশেষজ্ঞরা উত্তর প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ম্যানেজার সেলস্ ড. রাজেশ শিকদার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন Mr Ananda Papabathini, Zonal Manager KAQ  Kemin AquaScience™ আরো উপস্থিত ছিলেন Kemin Global Communication Manager R. Vind Kumar সহ Kemin AquaScience™- বাংলাদেশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।



মৎস্য শিল্পে জড়িত স্টেকহোল্ডাররা এ ধরনের প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানের জন্য কোম্পানিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। নিরাপদ মৎস্য পণ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য এধরনের কারিগরি কর্মশালা অত্যন্ত যুগোপযোগী বলে মনে করেন তারা। এ ধরনের কার্যক্রম এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সকলকে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন মৎস্যশিল্পের জড়িত সুধীজনেরা।

অনুষ্ঠানে দেশের দেশের মৎস্য সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় পুষ্টিবিদ, কনসালটেন্ট, মৎস্যশিল্পের জড়িত বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নিবার্হী, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

Kemin AquaScience™-এর লক্ষ্য হল অ্যাকোয়া ফিড এবং ফিড উপাদানগুলির গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখার মাধ্যমে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জগুলি নিরাপদ সমাধান প্রদানের মাধ্যমে শিল্পকে টেকসই করে এগিয়ে নেয়া।