সাতক্ষীরা অঞ্চলে নারিশ-এর “ক্যাটল ফিড, কাফ ফিড এবং সাইলেজ” ব্যবহারে খামারীদের আস্থা দিনদিন বাড়ছে

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত খড়ের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে এছাড়া গোচারণ ভূমি কমে যাওয়ায় ঘাসেরও রয়েছে তীব্র সংকট। এর ফলে বিপাকে পড়ে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকল পর্যায়ের খামারিরা। তবে ক্যাটল্ ও ডেইরি খামারীদের আশার আলো দেখাচ্ছে নারিশ এগ্রো লিমিটেড-এর “ক্যাটল ফিড, কাফ ফিড এবং সাইলেজ”।

শনিবার (১১ জুন) সকাল ১১ টা হতে দুপুর ২.৩০ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে নারিশ ক্যাটল ফিডের পরিবেশক মেসার্স আয়েশা ট্রেডার্স এন্ড মদিনা ফার্মেসী'র এর অধীনে প্রায় ৬০ জন খামারীদের নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ বক্তারা।

এলাকার মৎস্য বিশিষ্ট খামারী এবং সরদার এন্টারপ্রাইজ ও আয়েশা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মোঃ দিদারুল আলমের পিতা আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম সরদার-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাঃ মোঃ ফরিদ হোসেন এজিএম,সেক্টর-০৪, নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড  এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাঃ হযরত আলী সিঃআরএসএম, এআরএসএম মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিঃ সিএসও ডাঃ দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য্য এবং নারিশ ক্যাটল ফিডের পরিবেশক মোঃ দিদারুল আলম।

সেমিনারে নারিশের ক্যাটল ফিড, কাফ ফিড এবং সাইলেজের ব্যবহার নিয়ে উপস্থিত ডাঃ দীপাঞ্জন সেমিনার পরিচালনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোঃ ফরিদ বলেন খড় বা ঘাসের বিকল্প হিসেবে "নারিশ সাইলেজ" অতুলনীয়। বিশেষ করে যে সমস্ত এলাকায় খামারিরা খড় বা ঘাসের সংকটে ভুগে থাকেন তারা তাদের খামারের গরুর জন্য এটি খুবই উপযোগী। সাশ্রয়ী মূল্যে "নারিশ সাইলেজ" বাজারজাত করছে নারিশ এগ্রো লিমিটেড। বাংলাদেশ "নারিশ" ই প্রথম যারা তুরস্কের অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে বেল আকারে সাইলেজ খামারিদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে।



ডা: ফরিদ আরো বলেন দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে গবাদিপ্রাণির খামারিরা অত্যন্ত কষ্ট করে তাদের খামার পরিচালনা করে থাকেন। স্বচক্ষে না দেখলে যা বোধগম্য হওয়া সম্ভব হয় না। এসব খামারিরা দেশের সচেতন ভোক্তাদের কাছে নিরাপদ আমিষ সরবরাহ করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রান্তিক পর্যায়ে এসব খামারে কাজ করছেন অসংখ্য নারী। বাণিজ্যিক পর্যায়ে খামারকে লাভজনক করতে চাইলে প্রতিটি পদক্ষেপ গভীরভাবে চিন্তা করে নেওয়া প্রয়োজন। এ সময় তিনি সাতক্ষীরা এলাকার ডেইরি খামারিদের প্রশংসা করে বলেন, এখানের খামারিরা অত্যন্ত সচেতন তারা তাদের খামারে খাদ্য হিসেবে নারিশ ক্যাটল ফিড বেছে নেওয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। আগামীতে নারিশের  কারিগরি সেবার পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে এমনটাই আশা করেন ডা: ফরিদ।

নারিশের কারিগরী বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারিশ “Farmers First” শ্লোগানকে বুকে ধারন করে সব সময় খামারীদের মাঝে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। খামারকে দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক করতে চাইলে অবশ্যই বাছুরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ আজকের বকনা বাছুরটিই পরবর্তীতে দুধেল গাভী হবে, আর এঁড়ে বাছুরটি হবে ষাঁড়। নারিশের “কাফ ফিড” শুরু থেকে খাওয়ালে গরু নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে উঠবে বলে মনে করেন ডাঃ দীপাঞ্জন ।



সেমিনারে উপস্থিত খামারিরা নারিশের ফিডের ব্যাপক প্রশংসা করেন তারা বলেন নারিশ কেবল খাদ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ করে বসে থাকে না তারা খামারিদের দোরগোড়ায় কারিগরি সেবাগুলো পৌঁছে দেয় এটি তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এজন্য তারা দিনদিন নারিশের  প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাণী চিকিৎসকদের মধ্য হতে উপসহকারী প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নারিশ ফিডের গুণাগুণের ব্যাপক প্রশংসা করেন। সকলকে গুণগত মানের নারিশের গরুর খাদ্য খামারী পর্যায়ে প্রচারণার জন্য অনুরোধ জানান।



পরবর্তীতে বিশেষ অতিথি ডাঃ হযরত আলী খাদ্য বিষয়ক নারিশের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা, খামারীদের প্রতি সদয় চিন্তা ভাবনা বিষয়ে আলোচনা করেন। একই সাথে নারিশের খাদ্যের খাদ্যমান বিষয়ে তাঁরা বিশদ আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব রেজাউল করিম সরদার সকলকে আয়েশা ট্রেডার্স ও মদিনা ফার্মেসীর পক্ষ হতে দোয়া চেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।

দিনব্যাপি এ সেমিনারে সাতক্ষীরা অঞ্চলের জুনিয়র এসপিও মির্জা রাকিবুল হাসানসহ প্রায় ৬০ জন খামারী উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও আগ্রহ ক্যাটল ফিড বিক্রিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আগত খামারীরা।