একজন সামিউল আলিমঃ সফল যোদ্ধা, প্রেষণা ও প্রত্যাশার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পোল্ট্রি সেক্টর’র স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড এবং এ সেক্টরের প্রিয় মুখ জনাব সামিউল আলিম। প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই বিক্রয় ও বিপণন বিভাগকে সঠিক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি নিয়ে গেছেন এক অসামান্য উচ্চতায়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার পদ হতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে পদোন্নতি লাভ করেছেন। নারিশ পোল্ট্রির শুরু থেকেই যে ক'জন প্রতিষ্ঠানের নিবেদিত প্রাণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তার মধ্যে জনাব সামিউল আলিম অন্যতম।

২৬ মে, ২০২২ রোজ বৃহস্পতিবার এ পদোন্নতি বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষে নারিশের প্রধান কার্যালয়ে এক ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত হন সামিউল আলিম। এই আনন্দঘন মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি সম্মানিত পরিচালক (ইমপোর্ট এন্ড ফিন্যান্স) জনাব রফিকুল ইসলাম বাবু, জনাব এস এম এ হক সিনিয়র ডিজিএম (সেলস্ এন্ড মার্কেটিং), ডা. মুছা কালিমুল্লাহ্ ডিজিএম (সেলস্ এন্ড সার্ভিস), সিনিয়র ম্যানেজার (সেলস এন্ড সার্ভিস) মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, মানব সম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান সহ বিভিন্ন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



কৃতজ্ঞতা বক্তব্যে জনাব সামিউল আলিম তাঁর অনুভূতি ব্যক্তকালে, সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া আদায় করেন। তার এই সফলতায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ, বিভাগীয় সহকর্মী ও অনন্যা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় ও সকলের সহযোগিতায় তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামীতে নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ এর বিক্রয় ও বিপনণ কার্যক্রমকে আরো সুদূরপ্রসারী ও সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনার জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন তিনি। নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ এর সকল পরিবেশক ও দেশের সকল পর্যায়ের খামারীদের কাছে আরো উন্নত সেবা প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সামিউল আলিম।



নারিশের মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারাও জনাব সামিউল আলিম এর “এসিসট্যান্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট (এভিপি)” পদোন্নতি উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ জানিয়েছেন পাশাপাশি তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।

বর্তমানে দেশের পোল্ট্রি শিল্প একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। পোল্ট্রি খামারি ও উৎপাদন পর্যায়ে জড়িত সকল শাখা, একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী হ্যাচারি, ফিড মিল, পোল্ট্রি, মৎস্য, গবাদি প্রাণী ও এনিমেল হেলথ্ পণ্য উৎপাদক ও আমদানিকারকগণ সকলেই চরম এক সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন। তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে শুধুমাত্র উৎপাদন ও পরিষেবার দিকে নজর না দিয়ে ভোক্তা সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলেন সদ্য পদোন্নতি পাওয়া এভিপি জনাব সামিউল আলিম ।



তিনি আরো বলেন, পোল্ট্রি খামারি থেকে শুরু করে এসব প্রতিষ্ঠান ও পরিষেবায় কর্মসংস্থান হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। কাজেই এই পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশাদারদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বলাই বাহুল্য, একটি প্রতিষ্ঠান এরকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে চলবে বা একটি খামার কতদিন লোকসানের বোঝা বহন করতে সক্ষম…



এ থেকে উত্তরণের জন্য তিনি কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান। মাঠ পর্যায়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে সামিউল এগ্রিলাইফকে বলেন, আমাদের পোল্ট্রি শিল্পের সকল প্রতিষ্ঠানকে বুঝতে হবে দেশে একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা ও ফিড-এর চাহিদা কত? পোল্ট্রি ফিনিশড্ প্রডাক্ট (ডিম বা চিকেন) এমন কোন পণ্য নয় যা বেশিদিন ঘরে রাখা যায় । তাছাড়া আমাদের দেশে এখনও ফ্রোজেন মার্কেট আশানুরূপ গড়ে ওঠেনি, তাই উৎপাদন বেড়ে গেলে প্রান্তিক খামারীরা আর্থিক সমস্যার কারণে দ্রুত ডিম বা ব্রয়লার মুরগি বাজারে ছেড়ে দেয়। ফলে চাহিদার বিপরীতে বাজারে সরবরাহ বেশি হয় যার দরুন বছরের অধিকাংশ সময়ই খামারীরা ডিম বা ব্রয়লার মুরগির ন্যয্য মূল্য পান না।



এগ্রিলাইফকে সামিউল আরো বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের সকল প্রতিষ্ঠানকে বাজার বিশ্লেষণের মাধ্যমে বুঝে শুনে পোল্ট্রি খাদ্য ও একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করতে হবে। বাজার চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যতা না রেখে উৎপাদনে গেলে খামারী ও উৎপাদক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের সম্মুখীন হবে বলে তিনি মনে করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো যেন অস্থির/অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় এবং একে অন্যের ক্ষতির কারণ না হয় সে বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনার কথা বলেন তিনি।

এ ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী হ্যাচারি, ফিড মিল, পোল্ট্রি, মৎস্য, গবাদি প্রাণী ও এনিমেল হেলথ্ পণ্য উৎপাদক ও আমদানিকারক সহ এ শিল্পে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে, এমনটাই মনে করেন মাঠ পর্যায়ে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞ এই পেশাজীবী।