শিক্ষা, গবেষণা এবং শিল্পকে কেন্দ্র করেই পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে

রাজধানী প্রতিনিধি:শিক্ষা, গবেষণা এবং শিল্পকে কেন্দ্র করেই পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হিসেবে দেশের পোল্ট্রি শিল্প দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝে মাঝে  ব্রয়লার সম্পর্কে ভোক্তাদের ভ্রান্ত ধারনা ও মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচারণা এ শিল্পের জন্য অন্তরায় হয়ে দাড়ায়। ফলে খামারী থেকে ভোক্তা উভয়েই ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ই জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ট্রেইনিং বিল্ডিংয়ের মিলনায়তনে "Qualitative and Quantitative Study of Hazardous Chemicals in Broiler" শীর্ষক এক nception কর্মশালায় এমন অভিমত ব্যক্ত করলেন অংশগ্রহনকারী প্রাণি বিজ্ঞানী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এর সভাপতিত্বে  কর্মশালায় প্রধান অতিথি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাবা ওয়াহিদা আক্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রানিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট-এর মহাপরিচালক জনাব ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথোরিটি এর সদস্য (পাবলিক হেলথ্ এন্ড নিউট্রিশন) জনাব মঞ্জুর মোরশেদ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন (BARC)-এর প্রানীসম্পদ বিভাগের মেম্বার ডিরেক্টর ড. নাজমুন নাহার করিম। তিনি বলেন জনগণের মনে ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে যে ভীতি ও ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়েছে, সেই ভ্রান্ত ধারণা নিরসনে তারা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছেন। এই উদ্যোগ ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিশ্চিতে সহায়ক হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রানিসম্পদ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তার প্রেজেন্টেশনে বলেন, বাংলাদেশের মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ মাংস সরবরাহ হয়ে থাকে ব্রয়লার মাংস থেকে। বিশাল এই সেক্টরকে নিয়ে বিভিন্ন অসাধু মানুষ জন নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে উদ্বুদ্ধ করছে। তিনি বলেন, এই গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল ভোক্তা পর্যায়ের বিরুপ মনোভাব দূর করতে সহযোগি হবে। এছাড়া ব্রয়লার মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। এজন্য ওয়েট মার্কেটে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

দিনব্যাপী যুগোপযোগী এই কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কনসালটেন্ট ডঃ কাজী মোঃ কামারউদ্দিন, বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের পরিচালক (প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য) ড. নাথুরাম সরকার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক (কোয়ালিটি কন্ট্রোল) ড. মোঃ মোস্তফা কামাল।



কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএআরসি-এর সদস্য পরিচালকবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং বিএলআরআই বিজ্ঞানীবৃন্দ ও মিডিয়াকর্মীদের অংশগ্রহণ করেন।