নারিশ এগ্রো লিমিটেড বাজারে নিয়ে এলো “নারিশ কাফ্ ফিড”

নিজস্ব প্রতিেবেদক:কৃষিপ্রধান এদেশের কৃষিজ উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রাণিসম্পদ, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণিসম্পদের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে জড়িত রয়েছে গবাদি প্রাণির সুস্বাস্থ্য, বর্তমানে অধিক উৎপাদনের প্রত্যাশায় খামারীরা সংকর বা ক্রস জাতের গরু পালনে আগ্রহী হয়ে পড়ছে।

খামারের সাফল্য মূলত প্রাণীর যত্ন এবং পরিচালনার উপর নির্ভর করে, তবে বাছুর জন্মের পরবর্তী সময়ে খামারীদের নানান জটিলতার সন্মুক্ষিন হতে হয়, তাই বিদেশি ক্রস জাতের বাছুরের জন্য জন্মপরবর্তী সময়ে নিবিড় পরিচর্যা জরুরি। যে কোন প্রাণী ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে খুব অসহায় অবস্থায় থাকে এবং পরিচর্যার মাধ্যমে তাকে সুস্থ সবল করে তুলতে হয়। জন্মপরবর্তী পরিচর্যার উপরেই একটা বাছুরের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভরশীল। এসব বিবেচনায় ক্যাটল্ ও ডেইরি খামারীদের দীর্ঘ অপেক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে নারিশ এগ্রো লিমিটেড বাজারে নিয়ে এলো “নারিশ কাফ্ ফিড”।

নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটেড-এর জিএম (সেলস্ এন্ড মার্কেটিং) জনাব সামিউল আলিম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যাটল্ পালন দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। সঠিক খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাছুর পালন করা হলে তা সহজেই লাভজনক ব্যবসা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব । সংকর জাতের বাছুর সঠিক পরিচর্চার মাধ্যমে বেড়ে উঠলে তা খামারে অধিক উৎপাদনশীল গাভী কিংবা মোটাতাজাকরণের জন্য উপযুক্ত ষাঁড় হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় তারা “নারিশ কাফ্ ফিড” বাজারজাত শুরু করেছেন। তিনি আশাবাদী এ ফিড ক্যাটল্ খামারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগাবে।

সিনিয়র ডিজিএম (সেলস্ এন্ড মার্কেটিং) জনাব এস এম এ হক বলেন নারিশ “Farmers First” শ্লোগানকে বুকে ধারন করে সব সময় খামারীদের পাশে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও থাকবে । খামারকে দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক করতে চাইলে অবশ্যই বাছুরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ আজকের বকনা বাছুরটিই পরবর্তীতে দুধেল গাভী হবে, আর এঁড়ে বাছুরটি হবে ষাঁড়। নারিশের এ “কাফ ফিড” শুরু থেকে খাওয়ালে গরু নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে উঠবে।

ডিজিএম (সেলস্ এন্ড সার্ভিস) ডা. মুছা কালিমুল্লাহ্ বলেন, অনেক বাছুরকেই জন্মের পরে পর্যাপ্ত শালদুধ খাওয়ানো হয় না ফলে বাছুরের মধ্যে সঠিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায় না। এই দুধ খাওয়ালে বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বাছুরকে নিয়মিত গাভীর দুধ খাওয়াতে হবে অন্যথায় মিল্ক রিপ্লেসার এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টিরমান নিশ্চিত করতে হবে। বাছুরকে সাধারনত প্রথম ২ মাস অবশ্যই তার লাইভ ওজনের শতকরা ১০% দুধ খাওয়াতে হবে। বাছুরের শরীরের অবস্থা ও অন্যান্য খাবার গ্রহন বিবেচনায় দুধ সর্বোচ্চ ৮০-৯০ দিন বা ৩ মাস পর্যন্ত খাওয়ানো যেতে পারে, এর পর থেকে বাছুরকে দুধ খাওয়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। বাছুরের বয়স ১৪ দিন পার হলে দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার হিসেবে ক্রমান্বয়ে অল্প অল্প পরিমাণ “নারিশ কাফ্ ফিড” দিলে বাছুরের দ্রুত বর্ধনশীলতা নিশ্চিত হবে।

দেশের শীর্ষ ফিড ব্র্যান্ড “নারিশ ফিড ” সব সময় উৎপাদন, বিপণন এবং সেবা প্রদানে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে থাকে। তাদের এই ফিড-এর পালক এ নতুন সংযোজন “নারিশ কাফ্ ফিড” । দেশের অগ্রসরমান ক্যাটেল খামারিদের নিকট দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এমনটাই আশা করেন তাদের পরিবেশক এবং সকল পর্যায়ের খামারীবৃন্দ। তারা নারিশের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।