প্রাণিজ আমিষের উৎসগুলোর মধ্যে ডিম এখনো সবচেয়ে সস্তা একটি পুষ্টিকর খাবার

বাকৃবি প্রতিনিধি:প্রাণিজ আমিষের উৎসগুলোর মধ্যে ডিম সবচেয়ে সস্তা। ডিমের বায়োলজিক্যাল ভ্যালু সবচেয়ে বেশি (৯৩.৭ শতাংশ)। যেখানে দুধের ভ্যালু ৮৪.৫ এবং গরুর মাংসের ৭৪.৩। ডিম প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, এনজাইম, ভিটামিন, মিলারেলসসহ বিভিন্ন পুষ্টি সমৃদ্ধ পরিপূর্ণ একটি খাবার। ডিমে প্রাপ্ত ‘কোলিন’ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

'প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন ' এই শ্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে বিশেষজ্ঞ বক্তারা এসব কখা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় পশুপালন অনুষদের সামনে সার্বজনীন ডিম বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সার্বজনীন ডিম বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। পরে পশুপালন অনুষদীয় ফটক থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষের সামনে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ‘এগস ফর এ বেটার লাইফ' শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, চোখের স্বাস্থ্যে রক্ষায় ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিম সেরোটনিন এনজাইম তৈরিতে সাহায্য করে যা মানুষের মানসিক চাপ কমায় ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে। ডিম ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে।



সেমিনারে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. বাপন দে এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম । এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও সাবেক ইউজিসি অধ্যাপক ড. এস.এম বুলবুল, পশুপালন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলীসহ বিশ্বিবিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,, মানুষের মাঝে একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যে, ডিমের কুসুম না খেয়ে শুধু সাদা অংশ খেতে হবে। কিন্তু ডিমের কুসুম সাদা অংশের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। আমরা প্রতিদিন যে ভাজাপোড়া খাবার খাই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ডিম রাখা দরকার। প্রতিদিন সকালে ডিম খেলে আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটেনিন এনজাইম তৈরি হয়। যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।