যশোরে বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটোর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: "বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি বেস্ড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম" শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটোর উপর এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর)যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বলরামপুরে আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.দেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন), বারি, গাজীপুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.মো. মাজহারুল আনোয়ার, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, গাজীপুর, ড. কাওছার উদ্দিন আহাম্মদ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আরএআরএস, যশোর, ড.মো.হারুন অর রশিদ, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, খুলনা, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, গাজীপুর, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যশোর এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বাঘারপাড়া, যশোর।



মাঠ দিবসে স্বাগত বক্তব্যে কৃষক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, তারা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে প্রতি শতকে সাত হাজার টাকা খরচ করে ষোল হাজার টাকা বিক্রি করে এবং প্রায় নয় হাজার টাকা লাভ করে। এবছর কর্মসূচীর আওতায় ৬০ (ষাট) জন র্কষকের মাঝে উন্নত মানের বারি হাইব্রিড টমেটো-৪, বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ ও বারি হাইব্রিড টমেটো-১১-এর বীজ, সার এবং অন্যান্য সহায়তা পেয়েছে। এর বাইরেও অনেক কৃষক এই টমেটো চাষ করেছে এবং যশোর জেলার শুধু বাঘারপাড়া উপজেলায় প্রায় একত্রিশ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, আমাদের দেশে বেশিরভাগ সবজী শীতকালে চাষ করা হয় এবং গরম ও বর্ষা মৌসুমে সবজী কম থাকে। যদি গ্রীষ্মকালে এই টমেটো চাষ করা হয় তাহলে এই সময় সবজী এবং পুষ্টি ঘাটতি অনেকটা মেটাতে পারি। প্রতিবেশী দেশ থেকে টমেটো আমদানী করা এখন অনেক কমে গেছে। সারা দেশে প্রায় পনের হাজার টন গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদিত হয়।



উল্লেখ্য যে যশোর জেলায় প্রথম নব্বই দশকে গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটোর চাষ শুরু হয়, এরপর সারা দেশে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু বর্ষা মৌসুমে সবজী কম পাওয়া যায় এই জন্য গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাহিদা থাকে এবং কৃষকের বাজারজাত করা নিয়ে কোন সমস্যা  হয় না।

এই প্রকল্পের উদেশ্য বারি হাইব্রিড টমেটো এর বীজ উৎপাদন এবং সারাদেশে এর চাষ সম্প্রসারণ। প্রতি শতক জমি থেকে ২০০ কেজি টমেটো উত্তোলন করা যায় এবং এই বছর কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে, বিক্রির জন্য কোন চিন্তা করতে হয় না। যদিও প্রাথমিক খরচ বেশি কিন্তু একবার চাষ করলে পরবর্তি বছরে খরচ কমে যায় এবং কৃষকরা লাভবান হয়।