মৎস্য জরিপে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ব্যবহারে খুলনা অঞ্চলের খামারীগণ উপকৃত হবেন

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু:হার্নেসিং মেশিন লানিং টু এস্টিমেট একোয়াকালচার প্রডাকশন এন্ড ভেল্যু চেইন পারফর্মেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আউটরিচ কর্মশালা আজ সোমবার (৮আগস্ট ২২) খুলনার হোটেল সিটি ইন লি এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

প্রকল্পটির প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অঞ্চলের) এবং  বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.শহীদুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. তোফাজুদ্দিন আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, খুলনা এবং প্রফেসর ড. মো. গোলাম সারওয়ার, বিভাগীয় প্রধান, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স ডিসিপ্লিন, খুলনা কৃষি  বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন  প্রকল্পের প্রধান গবেষক (আমেরিকা অঞ্চলের) ও মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেন বেল্টন এবং কো-পিআই ড. রিকার্ডো হার্নান্ডেজ। প্রকল্পটি ইউএসএআইডি এর আওতাধীন ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ’ এর অর্থায়নে আমেরিকার ‘মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’ কর্তৃক পরিচালিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.শহীদুর রহমান খান বলেন 'মেশিন লার্নিং পদ্ধতি' অত্যন্ত আধুনিক এবং সময়োপযোগী একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে  মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অঞ্চলের) এবং বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, মৎস্য জরিপে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনা অঞ্চলের খামারীরা উপকৃত হবেন। এর মাধ্যমে সঠিক পরিসংখ্যানের জন্য মেশিন লার্নিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে  কোনো এলাকার স্যাটেলাইট ছবির তথ্য ব্যবহার করে  মাছচাষের সঙ্গে জড়িত জমির আয়তন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে  খুব কম সময়ে নির্ভুলভাবে মৎস্য জরিপ সম্ভব।