গ্রীষ্মকালীন টমেটো বিক্রি করা নিয়ে কৃষকের চিন্তা করা লাগে না

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ এমন একটা প্রযুক্তি যা কৃষক এক টাকা খরচ করলে দুই টাকা লাভ করতে পারে। যদিও প্রাথমিক খরচ বেশি কিন্তু একবার চাষ করলে পরবর্তি বছরে খরচ কমে যায়। যেহেতু বর্ষা মৌসুমে সবজি কম পাওয়া যায় এই জন্য গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাহিদা থাকে এবং বিক্রি করা নিয়ে কৃষকের চিন্তা করা লাগে না।

আজ ১০ জুন রোজ শুক্রবার, ২০২২ ইং আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র যশোরে  "বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি বেস্ড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম” শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় এক দিনের কৃষক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড.মো. মাজহারুল আনোয়ার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর।

মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহাম্মদ-এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলমে গ্রীস্মকালীন টমেটো চাষের কলাকৌশল এবং রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধের উপায় সঠিকভাবে শিখানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষকদের মাঝে প্রকল্পের আওতায় চাষ করার জন্য বারি হাইব্রিড টমেটো-৪, বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ এবং বারি হাইব্রিড টমেটো-১১ এর বীজ বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশে চাষকৃত গ্রীস্মকালীন টমেটোর সকল জাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) কর্তৃক উদ্ভাবিত জাত। উল্লেখ্য যে এই প্রকল্পের আওতায় যশোর জেলায় পঞ্চাশ বিঘা কৃষকের জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করা হবে এবং কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ এবং অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হবে। এই প্রকল্পের উদেশ্য বারি হাইব্রিড টমেটো এর বীজ উৎপাদন এবং সারাদেশে এর চাষ সম্প্রসারণ।

প্রশিক্ষণে যশোরের বাঘারপাড়া, সদর, ঝিকরগাছা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৬০(ষাট) জন কৃষক উপস্থিত ছিলেন।