ভাসমান কৃষি দুইশ’ বছরের পুরোনো ঐতিহ্য-কৃষি সচিব

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ভাসমান কৃষি দুইশ’ বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। ভাসমান ধাপের সবজি পুরোটাই নিরাপদ। তাই এর উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। আর বিজ্ঞানী এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই তা সম্ভব।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ভাসমান বেডে শীতকালিন সবজি উৎপাদনের আধুনিক কৌশল বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।  ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম এবং ফরিদপুরের অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক, বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন, ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, খুলনার আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার শারমিনা শামীম প্রমুখ।

এর আগে প্রধান অতিথি বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তার সফরসঙ্গি ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হৃদয়েশ্বর দত্ত, ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ, পিরোজপুরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার, ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী চঞ্চল কুমার মিস্ত্রী, হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত উপপরিচালক সাবিনা ইয়াসমিন, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করেন।