"গুণগত খাদ্য পরিমিত পরিমাণ, মাছের বৃদ্ধি চাষির লাভ"-সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নারিশ-এর কর্মশালায় বক্তারা

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:একটা সময় চাষের মাছ বলতে কেবল রুইজাতীয় কিংবা তেলাপিয়া বা পাঙ্গাস/কই/শিং/মাগুরের কথা ভাবা হতো। তবে মৎস্য চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের কল্যাণে দেশে এখন পাবদা, গুলশা, শোল সহ মিশ্র মাছ চাষ হচ্ছে। এসব মাছের বাজার মূল্য ভালো পাচ্ছেন মৎস্য খামারীরা। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য খাদ্য একটি অপরিহার্য উপাদান। মাছের কাঙ্খিত উৎপাদন বৃদ্ধিতে খাদ্য ̧গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে মাছ চাষে লাভবান হতে হলে মাছ চাষ পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত প্রতিটি পর্বে মাছ চাষিকে বিশেষ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।

এসব দিক বিবেচনায় দেশের শীর্ষ ফিড কোম্পানী নারিশ ফিডস লিমিটেড সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত  "মৎস্য চাষে খাদ্য ব্যবস্থাপনা" বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। সিরাজগন্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার শালিয়াগাড়ীতে ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর সহযোগীতায় ও নারিশ ফিডস লিমিটেড-এর আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৩৫ জন মৎস্য খামারীরা অংশগ্রহন করেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন,মাছ চাষে ৭০% এর বেশি খরচ হয় খাদ্য সরবরাহে। সঠিক পুষ্টিমান সম্পন্ন এবং মাছের আকার ও বয়স উপযোগী খাবার সরবরাহ না করলে লাভ হবে না। "গুণগত খাদ্য পরিমিত পরিমাণ মাছের বৃদ্ধি চাষির লাভ" এ শ্লোগানটির কথা জানিয়ে বক্তারা  বলেন, অনেক চাষি নিম্নমানের খাবার ক্রয় করে মাছ চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে করে তিনি সঠিক উৎপাদন পাচ্ছেন না ফলে খাবার ও অর্থ দুই-ই অপচয় হচ্ছে। আবার প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার সরবরাহ করলে যেমন মাছের প্রত্যাশিত উৎপাদন পাওয়া যায় না তেমনি বেশি পরিমাণে খাবার সরবরাহে ফিডের অপচয়ের কারণে চাষীকে লোকসান গুনতে হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন মোঃ মেহেদী হাসান সিএসও (সেলস এন্ড সার্ভিস) ও ডাঃ মোঃ শাহ্-আজম খান সিনিয়র সিএসও (সেলস এন্ড সার্ভিস)।  

প্রশিক্ষণে মাছ চাষের পুকুর প্রস্তুতি, মজুদ, মজুদ পরবতী ব্যবস্থাপনা, রোগ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, চাষের ঝুঁকি, সম্ভাব্য আয়-ব্যয় ও মাছ চাষের সঠিক পদ্ধতিসহ মৎস্য চাষ বিষয়ক কারিগরী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।