চট্টগ্রামে আয়োজিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী পনির উৎসব

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:সম্প্রতি সমাপ্ত বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২১ উদযাপনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় আয়োজিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী পনির উৎসব। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, পরিচালক,  পিআরটিসি - সিভাসু।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ বলেন, খামারীরা যদি তরল দুধের পরিবর্তে দুধকে পনিরে রুপান্তরিত করেন তাহলে একদিকে যেমন তার মুল্য বৃদ্ধি পায় অপরদিকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। পনির তরল দুধের একটি বিকল্প খাদ্যদ্রব্য এবং তা উপাদেয়ও বটে। পনির হলো ভ্যালু এ্যাডেড প্রোডাক্ট। পনিরকে চাইলে শাক- সবজি, ডাল, সালাদ কিংবা অন্যান্য খাবারের সাথে ভক্ষণ করা যেতে পারে যা প্রানীজ আমিষের ঘাটতি মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

খামারী নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে জনাব মালিক ওমর বাবু, সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন বলেন, দুধ থেকে পনির উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় বিরূপ সময়ে খামারীগন চাইলে তাদের দুধ তাৎক্ষণিকভাবে বাজারে বিক্রি না করে পনিরে রুপান্তর করতে পারেন। এতে খামারীগন সামগ্রিক ভাবে অধিক লাভবান হবেন বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন।

ক্যাবের কর্মকর্তা মিস শম্পা বলেন, পনির শুধুমাত্র রুটি নয় বরং যেকোনো খাদ্যের সাথেই তা যোগ করে খাওয়া যায়। যার ফলে তখন খাবারের পুষ্টিমান এবং পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ হবে। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ডা: দেলোয়ার হোসেন,  ডিডি ,এআই বলেন খামারীগন যদি হাতে কলমে এই পনির তৈরি প্রক্রিয়া শিখতে পারেন তাহলে তারাও আগ্রহী হবেন দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য পনির উৎপাদনে।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, কর্মকর্তাদের অনেকের কাছে বিষয়টি নতুন হওয়ার খামারী এবং কর্মকর্তাবৃন্দের ওয়ার্কশপের মাধ্যমে পনির উৎপাদন শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তার পাশাপাশি এর ভ্যালু এডিশন এবং সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়েও বিস্তারিত ভাবে জানাতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই শিল্পের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বর্তমানে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ পনিরের উৎপাদন, বাজারজাতকরন এবং  বহুল প্রচলনে অবদান রেখে চলেছেন এজন্য তিনি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, বিভাগীয় প্রধান, খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগ, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার খামারী, উদ্যোক্তা, ভোক্তাবৃন্দ।