বগুড়ায় সুষম সার ব্যবহারের উদ্বুদ্ধকরণ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

মো: দেলোয়ার হোসেন : গত ১২ই ফেব্রুয়ারী বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে কানাডার ক্যানপোর্টেক্স লিমিটেড এর অর্থায়নে বগুড়া মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ড্রাগন ফার্টিলাইজার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, বাংলাদেশ এর বাস্তবায়নাধীন সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসুচীর মাঠ দিবস বগুড়া সদর উপজেলার পৌরসভা বøকের কর্ণপুর পুর্বপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: মাহফুজ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: মতলুবর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্রাগন ফার্টিলাইজার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এর কনসালটেন্ট মো: নজরুল ইসলাম ও ম্যানেজার মো: তরিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন। যার কারণে কোভিড/১৯ এবং বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে কৃষি খাত দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই কৃষি খাতের উন্নয়ন বজায় রাখতে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। জমিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগ বন্ধ করে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে এবং পাশাপাশি জৈব সার প্রয়োগের পরিমান বাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে আমদানিকৃত সয়াবিন তেলের ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে এবং সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে। যার যতটুকু সুযোগ আছে সেখানে সরিষার আবাদে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পুষ্টি সমৃদ্ধ সরিষার তেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপর গুরুতারোপ করেন। তিনি উপস্থিত সকল কৃষককে মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের অনুরোধ জানান।

বিশেষ অতিথিগণ বলেন, রাসায়নিক সার প্রথমে যখন সাদা সার হিসেবে ইউরিয়া সার প্রয়োগ শুরু হয় তখন গোপনে কৃষকের জমিতে ছিটিয়ে দেয়া হতো। অথচ এখন কৃষক অধিক হারে রাসায়নিক প্রয়োগের ফলে মাটির অম্লত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তাই মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সার প্রয়োগের অনুরোধ জানান।

সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, মানুষ যেমন অধিক পরিমানে খাদ্য গ্রহণ করলে হজমে সমস্যা হয় ঠিক তেমনি মাটিতে অধিক পরিমানে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হলে মাটির গুনগতমান নষ্ট হয়। তাই জমিতে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।
ক্যানপোর্টেক্স লিমিটেড, কানাডা ও ড্রাগন ফার্টিলাইজার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সবজি ফসল ফুলকপির আবাদের জন্য কৃষকদেরকে চারা, রাসায়নিক সার ও পরিচর্যার জন্য অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

মাঠ দিবসে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ প্রায় ২০০ জন কৃষক-কিষাণী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা ডিপ্লোমা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম।