নওগাঁর মহাদেবপুরে সমলয় চাষাবাদে রাইস ট্রাসপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন

মো: দেলোয়ার হোসেন:কৃষি যান্ত্রিকরণের মাধ্যমে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচীর আওতায় রবি মৌসুমে বোরো হাইব্রিড জাতের ধানের সমলয় চাষাবাদে ৫০ একর প্রদর্শনী নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বকাপুর ব্লকের বকাপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (০১ ফেব্রেুয়ারী) রাইস ট্রাসপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপনের এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামছুল ওয়াদুদ।

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু হাসানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন এবং মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আহসান হাবীব। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষিবিদ মো: মোমরেজ আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রবি মৌসুমে ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদের ভিত্তিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষের কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। ফসলের উৎপাদন খরচ সাশ্রয় ও শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় রাইস ট্রাসপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপনের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে ধান চাষ করা সম্ভব হয়েছে। দেশে মানুষ বাড়লেও বাড়ছে না জমি, তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে খাদ্য চাহিদা পুরণ করতে হবে। উৎপাদন খরচ কমানো, কর্তনোত্তর অপচয় রোধ, কায়িক শ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পুরণ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই কর্মসুচী গ্রহন করা হয়েছে। তাই সমবায় মডেল অনুসরণ পুর্বক কৃষি যান্ত্রিকরণের সকল প্রযুক্তি সাথে কৃষকের সেতুবন্ধন তৈরী করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি উপস্থিত কৃষকদের সমলয় চাষে ফসলের ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে এলাকার অন্য কৃষকদের আকৃষ্ট করার মধ্য দিয়ে সমলয় চাষাবাদকে জনপ্রিয় করার অনুরোধ জানান।

সমলয় চাষাবাদের প্রদর্শনীতে কৃষি প্রনোদনা কর্মসুচীর আওতায় কৃষকদের মাঝে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ, বীজতলা তৈরীর খরচ, রাসায়নিক সার, জ্বালানী তেল, রোপন ও কর্তন খরচ প্রদান করা হয়।
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, সাংবাদিক, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ৩০০ জন উপস্থিত ছিলেন।