বিএলআরআইতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে বিএলআরআই সোমবার (১৫ আগষ্ট) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

এরপর সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় বিএলআরআই-এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয়ের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণ, শাখা প্রধানগণসহ সকল স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সকাল ১০:০০ ঘটিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

আলোচনা সভায় অতিথিদের পাশাপাশি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বক্তব্য রাখেন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা সংগ্রামমুখর ইতিহাস ও দেশের প্রতি তাঁর অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির মহানায়ক। ১৫ আগস্টের কালো রাতে একদল বিপথগামী ষড়যন্ত্রকারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। জাতি আজ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে ১৫ আগস্টের সকল শহীদকে। একই সাথে আমরা সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করি।

এসময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য কি কি করে গেছেন তা বোঝার জন্য আমরা যদি কেবল স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময় ও পরবর্তী সময়ে বাঙালিদের অবস্থান দেখি, তাহলে সহজেই আমরা তাঁর অবদান বুঝতে পারবো। স্বাধীনতার পূর্বে সকল ক্ষেত্রেই বাঙালি ছিলো বঞ্চিত, শোষিত। বঙ্গবন্ধু আমাদের যেমন একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, তেমনিভাবে আজকে আমরা ব্যক্তিগত জীবনে এই যে বড় বড় অবস্থানে এসেছি, তার পিছনেও বঙ্গবন্ধুর অবদান। আমাদের দেশের আজকের সকল প্রকার অগ্রযাত্রার পিছনেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অবদান, তাঁর চিন্তার বাস্তবায়ন।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বিএলআরআই কেন্দ্রীয় মসজিদে কুরআনখানি ও বাদ জোহর জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও বিএলআরআই-এর আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতা প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করে।