ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের বিরুপ প্রভাব-আত্রাইয়ের পাকা রাস্তাগুলো যেন মরণ ফাঁদ

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ:নওগাঁর আত্রাইয়ে বিভিন্ন জনপদের পাকা রাস্তাগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অবিরাম এসব রাস্তাতে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের ফলে ওই মাটি পড়ে রাস্তাগুলো পিচ্ছিল হয়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়িত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে রয়েছে পাকা রাস্তা। জনজীবনের মানোন্নয়ন ও উৎপাদিত কৃষিজাত দ্রব্য বাজারজাত করণের জন্য এসব রাস্তা পাকা করা হয়। কিন্তু এসব রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়িত ট্রাক্টর দ্বারা মাটি পরিবহনের ফলে রাস্তাগুলোতে মাটি পড়ে থাকে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই মাটিগুলো কাদা হয়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। ফলে পথচারীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

এদিকে বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের ভিটেমাটি ও মাঠের ফসলি জমি কেটে পুকুর বানানোর মহোৎসব চলছে। যত্রতত্র পুকুর খননে সরকারি বিধি নিষেধ থাকলেও এর কোন তোয়াক্কাই করছেন না পুকুর খননকারীরা। প্রশাসনও অজ্ঞাত কারনে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। অনেকেই ভেকু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে পুকুর খননে মেতে উঠেছেন। আর এসব খননকৃত পুকুরের মাটি অনুনোমদিত পরিবহন ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এদিকে পরিবহনকালে ট্রাক্টর থেকে মাটি পরে রাস্তায় কাদা জমে যাচ্ছে।

এমনই একটি রাস্তা উপজেলার দমদমা গ্রামে। ওই গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন, দমদমা গ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির পুকুর খননের মাটিতে তাদের এ রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি এত পিচ্ছিল হয় যে, ওই রাস্তা দিয়ে আর যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমন কি পায়ে হেঁটে চলাচলও সম্ভব হয় না। প্রতিনিয়ত এখানে সাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
 
এ ব্যাপারে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি নিজে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। ওই ব্যক্তি স্ব-উদ্যোগে রাস্তা পরিস্কার না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, এই বর্ষা মৌসূমে কোন অবস্থাতেই এসব মাটি বহন করা যাবেনা। আমি দ্রæত এ বিষযে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।