ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত হিসেবে ‘বারি গম-৩৩’ জাতটি মাঠ পর্যায়ে বেশ ভাল ফলাফল প্রদর্শন করেছে

কৃষিবিদ মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি:‘মানুষের নিরাপদ খাদ্য চাহিদা নিশ্চিতকরণের ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। এজন্য লাভজনক, টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের চেষ্টা চলছে। গম বাংলাদেশের দানা ফসলে মধ্যে ২য় তাই এর চাষাবাদ বৃদ্ধি সম্প্রসারণ আরো করতে হবে। ব্লাস্ট গমের একটি মারাত্বক রোগ তবে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত হিসেবে ‘বারি গম-৩৩’ নামে জাতটি মাঠ পর্যায়ে বেশ ভাল ফলাফল প্রদর্শন করেছে।

বুধবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, নশিপুর, দিনাজপুর-এর আয়োজনে রাজশাহীর আঞ্চলিক গম ও ভুট্টা গবেষণার সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, ‘বারি গম-৩৩’ জাত ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সক্ষম এর জীবনকাল ১০৮-১১৪ দিন। জাতটির গাছ শক্ত, শিষ লম্বা এবং প্রতি শিষে দানার সংখ্যা ৪৮-৫৪টি। দানার আকার মাঝারি, রং সাদা চকচকে এবং হাজার দানার ওজন ৪২-৪৬ গ্রাম। গাছের রং গাঢ় সবুজ। উপযুক্ত পরিবেশে হেক্টরপ্রতি ফলন চার থেকে পাঁচ মেট্রিক টন। তাই এর চাষ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিতে হবে। জাতটি ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বপনের উপযুক্ত সময়। তবে মধ্যম মাত্রার তাপ সহনশীল হওয়ায় এটি ৫ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বপন করলে অন্য জাতের তুলনায় বেশি ফলন পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুর এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো.গোলাম ফারুক-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ এবং ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান কৃষিবিদ ড. আলিমউদ্দিন।

কর্মশালায় গম চাষের বর্তমান পরিস্থিতি ও চাষাবাদ সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকার্তা ড. মো. ইলিযাস হোসেন। তিনি গমের রোগ, পোকা বিশেষ করে ব্লাস্ট রোগ নিয়ে আলোচনা করেন এবং গমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

কর্মশালায় সমসাময়িক বিষয় এবং গমচাষের সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  অতি:পরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ বলেন, গম আবাদের জন্য আগামী মৌসুমে বীজ সার প্রযোজনীয় তথ্য কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা গেলে গমের উৎপাদনের লক্ষ মাত্রায় পৌছা সম্ভব বলে জানান।

কর্মশালায় ডিএই, এসসিএ, এআইএস, হর্টিকালচার, বিএডিসি , বিএমডিএ, এসআরডিআই, বিএআরআই, কৃষক কৃষাণী, সাংবাদিক সহ প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন।