করোনা মহামারীতেও খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বিএডিসি

ইমরুল কায়েস মির্জা কিরণ:করোনা মহামারীতে বিশ্বব্যাপী যখন সব কিছুতে স্থবিরতা বিরাজ করছিলো তখনও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় ছিল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় কৃষকদের পাশে থেকে প্রযোজনীয় সেবা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে বিএডিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। বধবার (৮ জুন) থেকে শুরু হওয়া তিন দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএডিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ।

বিএডিসি’র কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা (নির্মাণ ও সওকা) জোন ৩ দিন ব্যাপী এ কৃষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

কুমিল্লা (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেলের ত্ত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক বলেন, অতীতে জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ অনেক বেশি থাকার ফলেও খাদ্য ঘাটতি ছিল, মানুষের মধ্যে ছিল প্রচন্ড অভাব। বর্তমানে জনসংখ্যা অনেক বেশি, সেই সাথে হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি  কিন্তু আজ দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। এর পুরো অবদান দেশের কৃষকদের আর প্রভাবক হিসেবে পিছনে কাজ করে চলছে বিএডিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

তিনি বলেন, পূর্বে যেখানে অনেক জমি জলাবদ্ধতা কিংবা সেচের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার কারনে বছরের অধিকাংশ সময় পতিত থাকত বর্তমানে জলাবদ্ধা নিরসন এবং সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ফলে সেসব জমি পরিপূর্ণভাবে চাষের আওতায় এসেছে।

বিএডিসি কুমিল্লা সার্কেলের সেমিনার হলে আয়োজিত এ কৃষক প্রশিক্ষণে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা (নির্মাণ) রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, প্রকল্প দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আলাল উদ্দীন, কুমিল্লা (সওকা) জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো: ইয়াকুব আলী, কুমিল্লা (নির্মাণ) জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো: আনিছুর রহমান এবং বিভিন্ন ইউনিটের উপ-সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণে সেচযন্ত্রের ম্যানেজার, পাম্প চালক, ফিল্ডম্যান ও কৃষকসহ মোট ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন।