'বাংলাদেশের ফসলের ক্ষতিকারক পোকা মাকড় ও রোগ বালাই' বিষয়ক ফিল্ড গাইড ' হস্তান্তর

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ-এর নেতৃত্বে 'বাংলাদেশের প্রধান প্রধান ফসলের ক্ষতিকারক পোকা মাকড় ও রোগ বালাই' বিষয়ক একটি ফিল্ড গাইড তৈরি করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে খবরটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ফিল্ড গাইডটির একটি কপি সোমবার ০১ নভেম্বর ২০২১ বাকৃবি জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুকে প্রদান করা হয়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আর্থিক সহায়তায় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্রের মাধ্যমে অত্যন্ত তথা বহুল কীট পতঙ্গ বিষয়ক এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ এই  গ্রন্থ রচনায় টীমের অন্যরা হচ্ছেন প্রফেসর ড মাহবুবা জাহান (কীটতত্ত্ব বিভাগ), প্রফেসর ড. এম আসাদুজ্জামান সরকার (কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগ), প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী হোসেন (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ) এবং ড. ইসলাম হামিম (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ)।

জানা যায়,এই টীমের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান ফসলের ক্ষতিকারক পোকা মাকড় ও রোগ বালাই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তাদের সনাক্তকরণের জন্য এই ফিল্ড গাইডটি রচনা করা হয়েছে। 

অধ্যাপক প্রফেসর ড মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ জানান, বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০ এ নির্দেশিত ছয়টি হটস্পটে জরিপ কার্য পরিচালনাসহ জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় নিয়ে প্রধান ফসল গুলিকে ১০ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন দানা শস্য, আঁশ জাতীয় শস্য, তৈল জাতীয় শস্য, সব্জি জাতীয় শস্য, ফল জাতীয় শস্য,সুগারক্রপ জাতীয় শস্য, মশলা জাতীয় শস্য, ডাল জাতীয় শস্য, কন্দ জাতীয় শস্য এবং শোভা বর্ধনকারী গাছ; এবং এই সব ফসলের প্রধান প্রধান ক্ষতিগ্রস্থকারী পোকা মাকড় ও রোগ বালাইএর রঙ্গীন ছবি সহ সনাক্তকরণ, জীবন বৃত্তান্ত, ক্ষতির প্রকৃতি, আবহাওয়ার প্রভাব, অর্থনৈতিক ক্ষতির সীমা, জরিপের পদ্ধতি এবং দমন ব্যাবস্থাপনা সংযুক্ত করা হয়েছে।

এই ফিল্ড গাইডটি নি:সন্দেহে কৃষি গ্রাজুয়েট, গবেষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বাংলাদেশের কৃষির ফ্রন্ট লাইনার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষকদের বিভিন্ন ফসলের পোকামাকড় ও রোগের তাৎক্ষণিক সনাক্তকরন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সহায়তা প্রদান করবে বলেও তিনি মনে করেন।

এছাড়াও পোকামাকড় দমন ও রোগ নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শস্যের গুণাগুণ ও উৎপাদনের পরিমাণে যেমন পরিবর্তন আসবে, তেমনি নতুন নতুন বালাই দেখা দিতে পারে এবং এটিই স্বাভাবিক। আর তা মোকাবেলার জন্য জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষি (climate smart agriculture) নিয়ে অগ্রসর হওয়ার এখনই সময়।