নওগাঁর পত্নীতলায় নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত

মো: দেলোয়ার হোসেন: সম্প্রতি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার নজিপুর পৌরসভার আওতাধীন পৌরসভা ব্লকের হরিরামপুর গ্রামে ব্রিধান-৮২ জাতের রোপা আউশ ধান কর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

রোপা আউশ ধান কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জনাব মো: সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জনাব মো: শামছুল ওয়াদুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব প্রকাশ চন্দ্র সরকার।

কৃষক মো: মাহাবুব আলমের ২০ বর্গমিটার মাপের জমিতে ব্রিধান-৮২ জাতের রোপা আউশ ধান কর্তন করা হয়। কর্তন শেষে মাড়াই-ঝাড়াই করে শুকনা ফলন ধানে হেক্টরে ৫.৪৮ মেট্রিক টন পাওয়া যায়।

ধান কর্তন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা হচ্ছে ধান উৎপাদনের প্রধান এলাকা। নওগাঁ জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় পত্নীতলায় সবচেয়ে বেশী পরিমানে বোরো, আমন ও আঊশ ধান উৎপাদীত হয়ে থাকে। এ বছর এ  উপজেলায় রোপা আঊশ ধানের আবাদ ভাল হওয়ায় দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিগত কয়েক বছর যাবৎ পত্নীতলা উপজেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে। তিনি উপস্থিত কৃষকভাইদের আগামীতে ধান উৎপাদনের পাশাপাশি গম, ভুট্টা, ডাল, তেল, বিভিন্ন শাক-সবজি চাষের অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শস্য কর্তনের মাধ্যমে ফসলের ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। তাই রোপা আউশ ধান কর্তনের মাধ্যমে ধান চাষের ভুলক্রটি সংশোধন করে নেয়া সম্ভব হয়। তিনি আরো বলেন, নওগাঁ জেলায় এ বছর কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে রোপা আউশ এবং চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব হবে যা দেশের খাদ্য চাহিদা পূরনে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে। তিনি কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের পরামর্শ মোতাবেক ফসল চাষে কৃষকদের অনুরোধ জানান।

উক্ত শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার প্রায় ১৫০ জন আদর্শ কৃষক উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাইমিনুল ইসলাম।