নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিলে বোরো ধান কর্তন

মোছাঃ সুমনা আক্তারী:নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ২০২০-২০২১ মৌসুমে বোরো ধান কর্তনে প্রধান অতিথি ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন নাটোর-২ আসনের মাননীয় আলহাজ্ব মো: শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাদিম সারোয়ার, জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুব্রত কুমার সরকার, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. আব্দুলাহ আল মামুন ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছা:ফৌজিয়া ফেরদৌস ।

এরপর একই দিনে নলডাঙ্গা উপজেলায় দুপুর ১২টায় নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে হালতিবিলে আগত শ্রমিকদের মধ্যে সুরক্ষাসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণসহ বোরো ধান কাটা মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।    

উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, কৃষকরা হচ্ছেন দেশের প্রাণ। তাদের শ্রমের বিনিময়ে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আর কৃষকদের পাশে রয়েছেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়াসহ ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রাংশ কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করছেন। সহযোগীতার ফলে কৃষকদের উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কৃষক-শ্রমিক সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মানার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কৃষি কর্ম ক্ষেত্রে শ্রমিকদের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য করোনার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ও খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ধান কাটা  শ্রমিকদের সহযোগিতা দেওয়া হবে। তারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ কর্ম করতে পারে, সে ব্যাপারে  সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেদিন বিবেচনা করে ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালতিবিলে অবস্থানরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়  সাবান, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি প্রথম দিনে ২০০ জন শ্রমিককে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।

ধান কর্তন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা, কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার প্রায় ২০০ জন কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।