কৃষিতে উত্তরোত্তর উন্নতি করার লক্ষে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:দেশের কৃষি উন্নয়নে এ ধরনের কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর মেলার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হল কৃষিখাত। দেশকে উন্নতির শিখরে এগিয়ে নিয়ে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া এবং উত্তরোত্তর উন্নতি করার বিকল্প নেই। এজন্য প্রচলিত সনাতন ধারার কৃষি প্রযুক্তির পরিবর্তনে খামার যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ও কলাকৌশল এর সমন্বয় সাধন একান্ত প্রয়োজন।  

আজ বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (০২-০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) মেয়াদে তিনদিন ব্যাপী ১১তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন একাডেমীর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ও মেলার আহবায়ক জনাব মোঃ ফেরদৌস হোসেন খান, লিমরার চেয়ারম্যান জনাব কাজী ছারোয়ার উদ্দিন, প্রমূখ।

বিগত ১৪ বছরের ধারাবাহিকতায় রাজধানীতে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ২০২৩।  ১৩টি দেশের (বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইতালি, ভিয়েতনাম, জার্মানি, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, কানাডা, সিংগাপুর ও মালয়েশিয়া) প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়া ও লিমরা ট্রেড ফেয়ার এন্ড এক্সিবিশনস লিঃ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক মেলায় কৃষি প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষক, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, আমদানীকারক, ব্যবহারকারী এবং সাধারণ কৃষক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।



এবারের প্রদর্শনীতে রাইস মিল, ফিড মিল, ওয়েল মিল, ফ্লাওয়ার মিল মেশিনারিজ, ফুড এন্ড বেভারেজ প্রসেসিং এন্ড প্যাকিং, এগ্রি মেশিনারি, পাওয়ার টিলার, ড্রায়ার, কুলার, চিলার এবং সাইলো সংক্রান্ত বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে। এবারের প্রদর্শনীতে দেশ-বিদেশের চার শতাধিক কোম্পানি তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছেন। প্রদর্শিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দেশের কৃষক সমাজকে কৃষি আধুনিকীকরণ এবং যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহিত করবে। মেলার মাধ্যমে কৃষি ও কৃষিপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট গবেষক, প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান,প্রযুক্তি ব্যবহারকারী ও দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ ঘটবে।

আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সরবরাহকারী, ব্যবহারকারী, গবেষক এবং প্রস্তুতকারকদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যা দেশের কৃষি প্রযুক্তি খাতকে সমৃদ্ধ করবে। ১১ম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলায় বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি "Sustainable Agricultural Mechanization in Bangladesh: Challenges and Opportunities" প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ মন্জুরুল আলম।