শুধু গার্মেন্টস্ নির্ভর থাকলে হবে না বরং রপ্তানিকে বহুমুখী করতে হবে-কৃষিমন্ত্রী

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:আমাদের রপ্তানি মূলত গার্মেন্টস্ নির্ভর। শুধু গার্মেন্টস্ নির্ভর থাকলে হবে না বরং রপ্তানিকে বহুমুখী করতে হবে। সেটি করতে হলে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে।

আজ রবিবার দুপুরে ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে ফুড সেফটি অ্যান্ড এক্সপোর্ট অপরচুনিটি টুওয়ার্ডস ইউএসএ শীর্ষক এক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য  ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেছন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নতদেশসমূহের মূল বাজারে আমরা কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে সেসব দেশের পূর্বশর্ত পূরণে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য দেশে উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। আম রপ্তানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে। চীন ও নেদারল্যান্ডসের সাথেও যৌথভাবে কাজ চলছে।

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃষিকে একপাশে সরিয়ে না রাখতে বা প্রান্তিকীকরণে না রাখতে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও রপ্তানির সম্ভাবনা অপার। সেটিকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ, বিনিয়োগ, সমন্বয় এবং সমন্বিত উদ্যোগ। এ বিষয়ে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন।

দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকটের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ দেশটি চিরদিন দুর্ভিক্ষের দেশ, খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দেশে প্রতিবছর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ না খেয়ে থেকেছে, না খেয়ে মারাও গেছে। আর গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ থেকে মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। এই সময়ে কোন রকম খাদ্য সংকট হয় নি, একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচার অ্যাটাশে ফ্রান্সিস মেগান, অ্যামচামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ,  ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. কামাল বক্তব্য রাখেন। দুদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অ্যামচামের নেতৃবৃন্দ জানান, যুক্তরাষ্ট্র বছরে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করে। সেখানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে মাত্র ১.৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য, শতকরা হিসাবে এক ভাগেরও কম।