ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপি পালিত হচ্ছে বিশ্ব তুলা দিবস'২০২২

রাজধানী প্রতিবেদক:আজ ০৭ অক্টোবর ২০২২ বিশ্ব তুলা দিবস, তুলার বিশ্বব্যাপী গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য ২০১৯ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বিশ্বের ৭৫ টিরও বেশি দেশে তুলা উৎপাদিত হয়। এটি বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশে দারিদ্র্য-বিমোচনকারী ফসল, যা মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। এটি একমাত্র কৃষি পণ্য যা আঁশ এবং খাদ্য উভয়ই সরবরাহ করে।

"Weaving a better future for cotton" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব তুলা দিবস পালন করছে সকলে। এ উপলক্ষে র‍্যালি, সচেতনতামূলক গণসংযোগ কর্মসূচি সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজন করেছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড।



এ উপলক্ষে আজ সকাল ১১ টায় রাজধানী মানিক মিয়া এভিনিউ এ সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা অঞ্চলের কর্মকর্তা কৃষিবিদ জনাব কুতুব উদ্দিন বলেন, তুলা হচ্ছে শুভ্রতার প্রতীক এই শুভ্রতা আমাদের সমাজের সকলের মাঝে ছড়িয়ে যাক এমনটাই কামনা করে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তুলা একটি অত্যন্ত অর্থকরী ফসল। দেশে চাহিদা ৮০ লক্ষ বেল যার মাত্র ৫ শতাংশ তুলা দেশে উৎপাদিত হয়ে থাকে সুতরাং ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে  প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আনয়নে তুলা একটি উল্লেখযোগ্য কৃষি ফসল হিসেবে আগামীতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন কুতুব উদ্দিন।



সম্প্রসারিত তুলাচাষ প্রকল্প-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, শুষ্ক, খড়া ও লবনাক্ততা জমিতে ও তুলা উৎপাদন করা যায়, যা অন্য ফসলে সম্ভব নয়। বিশ্ব তুলা দিবস ২০২২-এর মাধ্যমে, আমরা প্রত্যেক স্টেকহোল্ডারের কাছে পৌঁছতে চাই, যারা মূল স্টেকহোল্ডার যেমন তুলা চাষী, টেক্সটাইল মিল বা আরএমজি, ব্র্যান্ড বা খুচরা বিক্রেতা, ভোক্তা, শিক্ষাবিদ, গবেষক, মিডিয়া কর্মী, এনজিও এবং সরকারি কর্তৃপক্ষ।



এদিকে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং গবেষকরা মিশরের রাজধানী কায়রোতে চলমান চারদিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলন World Cotton Research Conference (WCRC-7)- এ অংশ নিচ্ছেন। সেখান থেকে দেশবাসী সহ সকলকে বিশ্ব তুলা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন তুলা উন্নয়ন বোর্ড-এর নির্বাহি পরিচালক কৃষিবিদ মো: আখতারুজ্জামান, উন্নয়ন বোর্ড-এর বিজ্ঞানী কৃষিবিদ ড. মো: তাসদিকুর রহমান ও কৃষিবিদ ড. মো: কামরুল ইসলাম।