দেশে প্রয়োজনের চেয়েও সারের মজুদ বেশি রয়েছে:কৃষিমন্ত্রী

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:দেশে প্রয়োজনের চেয়েও সারের মজুদ বেশি রয়েছে । বিএনপির আমলে মোট উন্নয়ন বাজেট ছিল ২২ হাজার কোটি টাকার মতো। সেখানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গতবছর শুধু সারেই ভর্তুকি দিয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কতটা কৃষকদরদী ও জনবান্ধব, এটিই তার বড় উদাহরণ।

আজ বুধবার সকালে যশোরে পিটিআই অডিটোরিয়ামে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধানের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের মানুষ এখন বাংলাদেশের মতো উন্নত হতে চায়। সেখানে দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী, কিছু সুশীল সমাজ ও বিএনপি জামায়াত স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ যেন শ্রীলংকা হয়ে যায়। তারা প্রতিদিন ঘুমের থেকে উঠে পত্রিকায় খুঁজে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কিনা, দেশে একটা অস্থিতিশীল অবস্থা হবে কিনা, সরকারের পতন হবে কিনা। এটি খুবই দুঃখজনক। এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ সবাই বলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভাল অবস্থানে আছে, শ্রীলঙ্কার সাথে তুলনা করার সুযোগ নেই। তাছাড়া, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং কয়েকদিন আগে বিশ্বব্যাংক বলেছে খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকেও দেশ অনেক ভাল অবস্থানে আছে।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদেরকে তদারকি জোরদার ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এতো বিশাল অংকের ভর্তুকির সার কোনক্রমেই যাতে কৃষক ভাইদের বেশি দামে কিনতে না হয়।

মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যেসব ডিলার কারসাজি করে সারের দাম বেশি নিচ্ছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আমাদের কাছে দ্রুত নাম পাঠান। এদের লাইসেন্স আমরা অবশ্যই বাতিল করব। এসব অসাধু ডিলারদের আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিব না।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন,  বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ডিএইর মহাপরিচালক বেনজীর আলম, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ. গাফফার খান, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান,  পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



পরে বিকালে কৃষিমন্ত্রী যশোর শহরের হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং  জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত কৃষি সেক্টর রূপান্তরে বিনিয়োগ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।