মো. জুলফিকার আলী:সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তার কার্যালয়, সিলেট এর আয়োজনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ এন্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার-ডিএএম অংগ) এর আওতায় সিলেট জেলায় “সম্ভাব্য কৃষি উদ্যোক্তা বাছাইয়ের জন্য অংশীজনের সাথে পরামর্শ” কর্মশালা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, সিলেটের সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়।

বিশেষ প্রতিবেদক: পোল্ট্রি শিল্প থেমে নেই বরং সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। সমগ্র বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদেরকেও পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পকে আমরা আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি শিল্প হিসেবে দেখতে চাই। ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনারকে সামনে রেখে এমন অনুভূতি ব্যক্ত করলেন,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়ন ও টেকসইতা নিশ্চিত করতে সংক্রামক রোগ মোকাবিলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, খামারিদের সচেতনতা এবং সরকারের সহায়তা এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। একইসঙ্গে, শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য সকল স্তরে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: দেশের পোল্ট্রি শিল্পের ব্যাপক উন্নয়নের সাথে সাথে এ খাতের সাথে জড়িত বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই শিল্পের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী, যারা মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিলসহ বিভিন্ন শাখায় তাদের দক্ষতা ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো পরিদর্শন করা পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এসব প্রদর্শনীতে আধুনিক প্রযুক্তি, নতুন ফিড ফর্মুলেশন, উন্নত প্রজনন কৌশল এবং রোগ প্রতিরোধের নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। পোল্ট্রি শিল্প এমন একটি ক্ষেত্র, যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিরাই এর প্রকৃত চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো বুঝতে পারেন। একজন সফল ও দক্ষ খামারি হতে হলে তাকে মুরগির বাচ্চা লালন-পালন, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সরঞ্জাম, খামার ব্যবস্থাপনা ও বাসস্থানসহ কারিগরি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হতে হয়।

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোল্ট্রি শিল্পের অবদান ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শিল্প শুধু খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে না, বরং বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পোল্ট্রি শিল্প থেকে বছরে কয়েক বিলিয়ন টাকা আয় হয়, যা জাতীয় জিডিপির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশের ফলে দারিদ্র্য হ্রাস, পুষ্টির মান উন্নয়ন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির প্রসার ঘটছে।

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: পোল্ট্রি শিল্প বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদান অনস্বীকার্য। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পোল্ট্রি শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। বিশেষ করে, স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা, উন্নত খাদ্য ও পুষ্টি প্রযুক্তি, জিনগত উন্নয়ন এবং ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এ খাতের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করার সুযোগ এখন আমাদের হাতের মুঠোয়।