ডিম মুরগির বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে কাজ শুরু করেছে BPIA

রাজধানী প্রতিনিধি: ঢাকা সিটির ডিম মুরগির পাইকার ও আড়ৎ ব্যবসায়ীদের সাথে ডিম মুরগির বাজারের স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (BPIA)। এ লক্ষে মাওনা, গাজীপুর, কাপ্তান বাজার, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ীর সহ রাজধানীর অন্যঅন্য গুরুত্বপূর্ণ কাঁচাবাজারের ডিম মুরগীর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন । সভায় সভাপতিত্ব করেন BPIA-এর সভাপতি জনাব শাহ হাবিবুল হক।

১৩ রোজ শনিবার বিকেলে রাজধানী মিরপুর ডিওএইচএস-এ এসোসিয়েশনের কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, পোল্ট্রি শিল্পে ব্যাকইয়ার্ড লিংকেজ দিয়ে অনেক আলোচনা উপদেশ থাকলেও আসলে বাজার স্থিতিশীলতা করার জন্য ফরওয়ার্ড লিংকেজ যে কত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় সেটি উঠে আসে। এ মতবিনিময় সভায় ফরওয়ার্ড লিংকেজে জড়িত সেবটক হোল্ডারদের মধ্যে অন্যতম পাইকারি আড়তদার এবং ব্যবসায়ীরা তাদের কি ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করে বর্তমান সময়ে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন সেটি উল্লেখ করেন।

একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছেন অনেকে ব্যবসা গুটানোর চিন্তা ভাবনাও করছেন। ব্যবসা করতে গিয়ে যে খরচটা হচ্ছে তার হিসেবটা সিলানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের সাধারণ জনগনের মাঝে ডিম ও মুরগির মত অতিপ্রয়োজনীয় প্রাণিজ প্রোটিনসরবরাহ করতে যেয়ে মাঝে মাঝে নানা রকম হয়রানির কথাও তারা মতবিনিময় সভায় কান্নাজড়ি কন্ঠে যৌক্তিকতা সহকারে তুলে ধরেন। এ সময় প্রায় সকলেই বলেন করোকালীন সময়ে সরকারের অনুরোধে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিম ও মুরগি সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন অথচ তাদের এই এখন বর্তমান দুরবস্থার সময় এখন আর কেউ পাশে নেই যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন তারা।

উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি শিল্পে ব্যাকইয়ার্ড লিংকেজ এবং ফরওয়ার্ড লিংকেজের ব্যবসায়ীরা জড়িত থাকেন। দেশের পোল্ট্রি শিল্পেও এর ব্যতিক্রম নয়। স্থিতিশীলতা রাখার লক্ষ্যে কেবল ব্যাকইয়ার্ড লিঙ্কেজের দিকে নজর দিলে চলবে না ফরওয়ার্ড লিংকেজের প্রত্যেকটি স্তরে কাজ করতে হবে। BPIA পোল্ট্রি শিল্পের সকল স্টেক হোল্ডারদের দিয়েই কাজ করে।

এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ভ্যালু চেইনের প্রত্যেকটি স্তরে জড়িত স্টেকহোল্ডাররা যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে মুনাফা করতে পারে অন্যদিকে ভোক্ততারাও যাতে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি সহজে পেয়ে যান এবং ডিমের ও মুরগির প্রকৃত মূল্য জানতে পারেন সে লক্ষে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন-এ উদ্যোগ গ্রহন করেছে। প্রান্তিক পর্যায়ে উৎপাদিত ডিম ও মুরগিগুলি আড়তদারদের মাধ্যমেই খুচরা পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব কাজেই তারা এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার। সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে তাদের সহযোগিতা প্রদান করলে নিঃসন্দেহে তারা ডিম ও মুরগি সহনশীল পর্যায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ রাখতে পারবেন বলে মনে করেন এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা।

তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আমানত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ মিয়া, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মাওনা চৌরাস্তার,শামীম আহমেদ, মিরপুরের এগ বাজারের হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর কাপ্তান বাজারের লেয়ার, ব্রয়লার,কক, প্যারেন্ট, সোনালি মুরগি ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব শফিউল আলম বাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।

মতবিনিময় সভায় সহ-সভাপতি খন্দকার মনির আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি নুরুল মোর্শেদ খান, প্রচার সম্পাদক মোঃ তোফাজ্জল হোসেইন, কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অঞ্জন মজুমদার, এটিএম জাহিদুর রহিম জোয়ারদার প্রমুখ

ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫৫ জন ডিম ও মুরগির পাইকারি ব্যবসায়ীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।