১২ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো-তে প্রান্তিক খামারীদের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: মাত্র ১২ বছর থেকেই পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন, বর্তমানে তার বয়স ৩৮ বছর। এই ২৬ বছরের সংগ্রামী জীবনে পোল্ট্রির ক্ষুদ্র খামারি থেকে বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তা সবার সাথে পরিচিত হয়েছেন তিনি। কৃষি ও পোল্ট্রি শিল্পে ভূমিকা রাখার জন্য পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, ১, তীর-প্রথম আলো পুরস্কার, দীপ্ত কৃষি পুরস্কারসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তবে তার একটি আফসোস প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে।

বলছিলাম শাহীন পোল্ট্রি ও হ্যাচারীর সত্ত্বাধিকারী মো. শাহীনুর রহমান-এর কথা। কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়ার বামুনপাড়াতে তার এই খামারের অবস্থান। ১৯৯১ সালে তিনি এ শিল্পের সাথে যুক্ত হয়ে আজ অবধি কোনো রকমে চালিয়ে যাচ্ছেন তার কার্যক্রম। ১৯৯৫ সালের দিকে যখন বাংলাদেশে এ শিল্প বাণিজ্যিক দিকে যাচ্ছিল তখন মুরগীর খাদ্যের দাম ছিল অনেক কম। পোল্ট্রির রোগব্যাধিও ছিল কম। তখন ভালোই লাভ পাচ্ছিলেন তাই এর সাথে লেগে থাকতে থাকতে এখন মায়ার জালে আটকা পড়ে গিয়েছেন।

শাহীন আক্ষেপ করে বলেন, প্রান্তিক খামারিদের কথা আমরা আলাপ আলোচনায় উচ্চারিত করি কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই বললেই চলে। তাদের অবহেলা তাকে অত্যন্ত পীড়া দেয়। ভ্যাকসিন আমদানী ও বিপনণে কুল চেইন মেইনটেইন করার প্রতি জোর দেন তিনি। তার মতে কোনো পোল্ট্রি পণ্য আমদানীর সাথে সাথে যাতে রোগ-বালাই আমদানী না হয় সে বিষয়টি ভাবতে হবে এ শিল্পের সাথে জড়িত সকলকেই।

প্রান্তিক খামারীদের জন্য আসছে ১২ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনার কতটুকু ভূমিকা রাখবে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মেলাটি অনেকাংশে বড় বড় বাণিজ্যিক খামারীদের জন্য। প্রান্তিক খামারীদের জন্য এ মেলা কতটুকু গুরুত্ব বহন করবে তা সময়েই বলে দিবে। তাদের জন্য স্টল দেওয়া গেলে তারা উপকৃত হতো। মেলার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারীদের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।