বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের আয়োজনে রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

এম আব্দুল মান্নান: বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের আয়োজনের প্রতিবছরের ন্যায় এবছরের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মাছ চাষী, মৎস্যবিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃ্হস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কনফারেন্স রুম, ভিশন-২০২১ ভবন, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এ দুপুর ২ টা থেকে সন্ধা ৬.০০ টা উক্ত পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসেম (সুমন), মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কাইয়ুম, ফিশটেক হ্যাচারি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তারেক সরকার ও আরো অনেকে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ রানা পলাশ।

এবারের রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল-" স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে মৎস্য সেক্টরের অবদান" উক্ত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলী এ বছর ০৫ জনকে বিজয়ী হিসেবে সুপারিশ করেন। এতে ১ম হয়েছেন নাজমুন নাহার, ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যৌথভাবে ২য় হয়েছেন কে এম তৌফিক হাসান, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , ‍ এবং নমিতা রানী অধিকারী, ফিশারিজ,একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যৌথভাবে ৩য় হয়েছেন জোয়াইরা খান মিথীলা, ফিশারিজ অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও মোঃ ফাহাদ হোসেন ফাহিম, পশুপালন অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সনদপত্র, বই ও নগদ অর্থ তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ মৎস্য সেক্টরে প্রথম যা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ নিয়ে রচনা লিখতে গেলে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ নিয়ে জানা হয়ে যায় যা মৎস্য বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থীর জন্য জানা জরুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, লেখনীর মাধ্যমে জ্ঞান বিকশিত হয়, বর্তমান সরকারের ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমান করা যেখানে মৎস্য সেক্টর কি অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে রচনা লিখতে গেলে, যারা আগামীতে নেতৃত্ব দিবে তারা মৎস্য সেক্টরের স্মার্ট টেকনোলজি সর্ম্পকে সম্মুখ ধারনা পেয়েছে যা তাদের স্মার্ট সিটিজেন তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে গুরত্বপূর্ন অবদান রাখবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, আমরা মাছে ভাতে বাঙালি, আমাদের ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে মাছ। মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য গবেষনা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিশ্রমের ফলে আজ আমরা মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ন। বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতাল সৃষ্টি লঘ্ন থেকে মাছ চাষীদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি মৎস্য সেক্টরে আগামিতে যারা নেতৃত্ব দিবে তাদেরকে সেক্টরের প্রতি অনুপ্রানিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে রচনা প্রতিযোগিতা, সিম্পোজিয়াম, ক্যাম্পেয়িন আয়োজন করে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় নির্ধারন করা হয়েছিল –"স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে মৎস্য সেক্টরের অবদান" যা শিক্ষার্থীদের মৎস্য সেক্টরের স্মার্ট প্রযুক্তিগুলো সর্ম্পকে জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করেছে বলে আমি মনে করি যা আগামিতে তাদের কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে তারা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে ভূমিকা রাখবে।